রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
কিয়েভে ফের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইউক্রেনকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হবে, তবে বাইডেনের মত ভিন্ন
প্রকাশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কর্তৃপক্ষ বলেছে, সোমবার হওয়া এ হামলায় বিধ্বস্ত অস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুজন আহত হয়েছেন। রাজধানীর সামরিক প্রশাসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'টেলিগ্রামে' জানিয়েছে, ১০টির বেশি ক্রুজ ও প্রায় ১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএফপি, নিউ ইয়র্ক টাইমস
আন্তর্জাতিক সময় ৩টা ৩০ মিনিটে দেশের আকাশসীমা নিরাপদ ঘোষণা করে বিমান বাহিনী। তার আগে প্রায় ২ ঘণ্টা দেশব্যাপী বিমান হামলার সতর্ক সংকেত জারি ছিল। এ সময় প্রতিবেশী দেশ ও ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড নিজেদের আকাশসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুদ্ধবিমান সক্রিয় রেখেছিল।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটশখো টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, হামলায় রাজধানীর একটি জল-কেন্দ্রের বয়লার হাউস আংশিক ও একটি মেট্রো স্টেশনের প্রবেশদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে স্টেশনের কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত আছে। তিনি আরও বলেছেন, হামলায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন আগুনে পুড়ে গেছে। এ ছাড়া একটি অনাবাসিক ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সিভিয়াতোশিনস্কি, হোলোসিভস্কি ও সোলোমিয়ানস্কিই অঞ্চলে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের প্রেরণ করা হয়েছে।
এর এক সপ্তাহ আগে ২ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। এতে সাতজনের প্রাণহানির পাশাপাশি দেশব্যাপী বিদু্যৎকেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই হামলাকে প্রায় আড়াই বছরব্যাপী চলা যুদ্ধের মধ্যে বৃহত্তম বলে অভিহিত করেছে কিয়েভ। যদিও রাশিয়া সবসময়ই বেসামরিকদের ওপর হামলা করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
নরওয়েতে রাশিয়ার সেই 'গুপ্তচর
তিমি'র রহস্যজনক মৃতু্য
এদিকে, নরওয়ের সমুদ্র সৈকত থেকে বিশাল এক তিমির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভলদিমির নামে এই প্রাণীটির মৃতদেহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রিসাভিকায় ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। রাশিয়া এই তিমিকে 'গুপ্তচর' হিসেবে ব্যবহার করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তার মৃতু্য ঘিরে রহস্যের জাল এখনো উন্মোচিত হয়নি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তিমিটিকে কাছে বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভলদিমির নামে এই তিমি ১৪ ফুট লম্বা এবং এর ওজন দুই হাজার ৭০০ পাউন্ড। বিশালাকৃতির এই তিমি প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল ২০১৯ সালে। সে সময় এটির সঙ্গে একটি গোপন ক্যামেরা লাগানো ছিল, যেটির গায়ে 'সেইন্ট পিটার্সবার্গের যন্ত্র' লেখা ছিল। এতেই গুজব ছড়িয়েছিল, স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি একটি গুপ্তচর তিমি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। যদিও মস্কো কখনো এ ধরনের অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।
'মেরিন মাইন্ড' নামে একটি সংগঠন সপ্তাহের শেষে ভলদিমিরের নিথর দেহটি আবিষ্কার করে। সংগঠনটি বছরের পর বছর ধরে তিমিটির গতিবিধি অনুসরণ করছিল। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা 'সেবাস্তিয়ান স্ট্রান্ড' তিমিটির মৃতু্যর কারণ অজানা বলে জানিয়েছেন। এমনকি ভলদিমিরের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তিনি আরও বলেন, 'আমরা তার দেহাবশেষ উদ্ধার করতে পেরেছি। তার মৃতু্যর কারণ জানতে ভেটেরিনারি ইন্সটিটিউট, যাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে সে কারণে তিমিটিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে রাখা হয়েছে।'