মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে ১৫ আইএস যোদ্ধা নিহত

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে ১৫ আইএস যোদ্ধা নিহত

ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে যৌথ অভিযান চালিয়েছে মার্কিন ও ইরাকি বাহিনী। তাদের এই যৌথ অভিযানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ১৫ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এ তথ্য দিয়েছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ভোরে পশ্চিম ইরাকে আইএস নেতৃত্ব সদস্যের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, গ্রেনেড ও আত্মঘাতী বিস্ফোরকে সজ্জিত আইএস সদস্যরা আমেরিকান এবং ইরাকি সেনাদের মুখোমুখি হয়েছিল। যৌথ এ অভিযানে আইএসের ১৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় কোনো বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ অভিযানে সাত মার্কিন সেনা আহত হয়েছে। অবশ্য সেন্টকম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ইরাকের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের মরুভূমি ও গুহা এলাকায় বিমানবাহী অভিযান চালানো হয়। তারপর আইএসের গোপন আস্তানা টার্গেট করে বিমান হামলা করা হয়েছে। সেন্টকম বলেছে, তারা মধ্যপ্রাচ্য এবং এ অঞ্চলের বাইরে আমেরিকান, ইরাকি এবং মিত্রদের বিরুদ্ধে জঙ্গি গোষ্ঠীটির পরিকল্পনা, সংগঠিত ও আক্রমণ করার ক্ষমতা 'ব্যাহত ও অবনমিত' করার প্রচেষ্টায় আইএস নেতৃত্বের সদস্যদের লক্ষ্য করে এ অভিযান চালিয়েছে।

ইরাকে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। আমেরিকার দাবি, তারা ইরাকি বাহিনীকে পরামর্শ ও সহায়তা দিতে সেখানে অবস্থান করছে। বেশ কয়েক মাস ধরে ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনীকে বের করে দেওয়ার কথা শোনা গেলেও ১৫ আগস্ট বাগদাদ ঘোষণা করেছে, তাদের দেশ থেকে মার্কিন সামরিক অভিযান শেষের পরিকল্পিত সময়সীমা স্থগিত করা হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে একটি হামলা এবং অস্ট্রিয়ায় একটি হামলার পরিকল্পনায় আইএসের নাম সামনে আসার পর বৃহস্পতিবার ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানো হয়। অস্ট্রিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানী ভিয়েনায় টেইলর সুইফটের একটি কনসার্টে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ ১৯ বছর বয়সি এক অস্ট্রিয়ান নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ব্যক্তি ইসলামিক স্টেটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। অস্ট্রিয়ান কর্তৃপক্ষ সিআইএর গোয়েন্দা তথ্য আমলে নিয়ে শত শত জীবন বাঁচিয়েছে।

কিছুদিন আগে জার্মানির সোলিংজেনে ছুরি হামলায় তিনজন নিহত এবং আটজন আহত হয়। এ ঘটনায় ২৬ বছর বয়সি হামলাকারী ইসা আল-এইচের সঙ্গে আইএসের সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত চলছে। গত মাসে ওমানের রাজধানী মাস্কাটে একটি শিয়া মুসলিম মসজিদের কাছে একটি বিরল গোলাগুলির ঘটনার আংশিক দায় নেয় আইএস। ওই ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়।

ইসলামিক স্টেটের একসময় ইরাক ও সিরিয়ায় শক্ত অবস্থান ছিল, কিন্তু মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ব্যাপক অভিযানে মুখে তাদের তথাকথিত খিলাফতের পতন ঘটে।

গত জুন মাসে পুলিশ বাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ভাগাভাগি ইউরোপীয় শহরগুলোয় আইএসের সমন্বিত আক্রমণগুলোকে অনেকাংশে দমন করেছে। তবে আইএস অনলাইনে তাদের জিহাদি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এখনো চরমপন্থিদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়। লন্ডনের একজন ঊর্ধ্বতন হোয়াইটহল কর্মকর্তা আইএসের বর্তমান অবস্থাকে 'ডাউন বাট নট আউট' (পতন হলেও নিশ্চিহ্ন হয়নি) বলে অভিহিত করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে