অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইসরাইলের প্রতি কমলা হ্যারিসের দৃঢ় সমর্থন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে। এর জেরে আগামী দিনগুলোতে কমলার প্রচারাভিযান বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় ও জনসমাবেশে নতুন করে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। গত ২০ আগস্ট জর্জিয়ার সাভানাতে হ্যারিসের বক্তৃতায় বাধা দিয়েছেন তারা। তথ্যসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ফিলাডেলফিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কমলা হ্যারিসের বিতর্কের সময় বিক্ষোভ করবেন আরব আমেরিকান, মুসলিম এবং তাদের সহযোগীরা। এ ছাড়া ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি হামলার বার্ষিকীতে প্রধান প্রধান শহর ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করবেন তারা। এর আগে শিকাগোতে ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনেও বিক্ষোভ করেন তারা।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর, ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি কমানোর কথা বিবেচনা করবেন না বলেও স্পষ্ট করেছিলেন কমলা হ্যারিস। বৃহস্পতিবার 'সিএনএন'র সাক্ষাৎকারেও তিনি ইসরাইলের প্রতি তার মনোভাব স্পষ্ট করেছেন। বলেছেন, 'ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ও নিজেদের আত্মরক্ষার সক্ষমতার প্রতি আমি প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। আমার এই অবস্থান বদলাবে না।' অস্ত্র বিক্রি কমানোর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে চুক্তি করতে হবে।'
কমলার এই দৃঢ় অবস্থান আবারও ডেমোক্রেটিক জোটে ফাটল ধরিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জো বাইডেনের প্রচারাভিযানেও এ সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ডেমোক্রেটরা।
সিএনএনের সঙ্গে কমলার সাক্ষাৎকার প্রচারের পর, কংগ্রেসে নির্বাচিত প্রথম ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নারী প্রতিনিধি ও ডেমোক্রেটিক রাশিদা তালিব নিজের 'এক্স' পস্ন্যাটফর্মে বলেন, 'এটা ঠিক। যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যা চলতেই থাকবে।'
আরব আমেরিকান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য অবশ্য সম্প্রতি দুইজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করেছেন কমলা। কিন্তু তারা কমলার নিয়োগকৃতদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এমন পরিস্থিতিতে মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও অন্যান্য কলেজ ক্যাম্পাসে আবারও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ডেমোক্রেটরা। সেই সঙ্গে আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে কমলা বেশ কয়েকটি রাজ্যে মুসলিমদের ভোট হারানোর আশঙ্কাও রয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনে সমর্থন দেওয়ায় ২০২০ সালে বাইডেনকে সমর্থন দেন আরব আমেরিকানরা।