সিএনএনকে সাক্ষাৎকার

ভোটে জিতলে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন আনবেন কমলা

একটা চুক্তি করতে হবে। গাজা যুদ্ধ অবশ্যই শেষ হতে হবে

প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস বৃহস্পতিবার সিএনএনকে প্রথম সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নির্বাচিত হলে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হবে দ্রব্যমূল্য কমানোসহ নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে 'মধ্যবিত্তকে সমর্থন ও শক্তিশালী করা। তিনি বলেছেন, আমেরিকার জন্য এখন দিনবদলের সময়। তথ্যসূত্র : সিএনএন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ডানা বাশকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন কমলা। সাক্ষাৎকারে তার রানিং মেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী টিম ওয়ালজও ছিলেন। যৌথ এই সাক্ষাৎকারে সরকার, রাজনীতি, অর্থনীতি, সীমান্তনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, জ্বালানিনীতি, অভিবাসনসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসে। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর থেকে অভিবাসন ও জলবায়ু সংক্রান্ত নীতিগুলোর ব্যাপারে কেন আরও মধ্যপন্থি হয়ে উঠেছেন তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল কমলা হ্যারিসের কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, আমার নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সিদ্ধান্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো- আমার মূল্যবোধ পরিবর্তিত হয়নি।' তার পরিবর্তিত অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে কমলা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে ২০১৯ সালে প্রবর্তিত একটি বিস্তৃত ডেমোক্রেটিক প্রস্তাব 'গ্রিন নিউ ডিল'-এর প্রতি তার আগের সমর্থনের কথা উলেস্নখ করেছেন। কমলা হ্যারিস বলেন, 'আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি এবং আমি এটিতে কাজ করেছি যে জলবায়ু সংকট বাস্তব, এটি একটি জরুরি বিষয়।' অভিবাসন বিষয়ে নিজের কঠোর অবস্থানের কথাও জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, তিনি বিস্তৃত সীমান্ত আইনের জন্য পুনরায় চাপ দেবেন যা আমেরিকায় অভিবাসনকে কঠোর করবে এবং সীমান্ত পারাপারের বিরুদ্ধে 'আমাদের আইন প্রয়োগ করার' প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে। তিনি বলেন, 'আমাদের এমন আইন আছে যা অনুসরণ করতে হবে এবং প্রয়োগ করতে হবে, লোকদের বলতে হবে, যারা অবৈধভাবে আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।' মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে করা প্রশ্নে কমলা বলেন, তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ও আত্মরক্ষার সক্ষমতার প্রতি তার প্রতিশ্রম্নতিতে অটল। তার এই অবস্থানে পরিবর্তন আসবে না। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার প্রসঙ্গ টানেন কমলা। বলেন, হামলায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি আগেও বলেছেন, এখনো বলছেন, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার ছিল, আছে। অন্যদিকে অনেক নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একটা চুক্তি করতে হবে। এই যুদ্ধ অবশ্যই শেষ হতে হবে। জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবশ্যই একটি চুক্তি করতে হবে। ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে মার্কিন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে কি-না, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি কমলা। নির্বাচিত হলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনের কাজ কী হবে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল কমলার কাছে। জবাবে কমলা নির্বাহী আদেশ জারি করার মতো কোনো নির্দিষ্ট কর্মতালিকা দেননি। বরং কমলা উলেস্নখ করেন, আমেরিকার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেবেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম ও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলোর একটি হবে আমেরিকার মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে সমর্থন দেওয়া, শক্তিশালী করা।