দলের নেতাদের গ্রেপ্তার হওয়ার নির্দেশ ইমরানের

প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
টানা এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খান। কারাগারে বন্দি থেকেই তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগও আইনিভাবে মোকাবিলা করছেন তিনি। এবার আন্ডারগ্রাউন্ডে (আত্মগোপন) থাকা পিটিআই নেতাদের দিয়েছেন তেমনই আদেশ। আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে সাহস করে তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তথ্যসূত্র : দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দলের আন্ডারগ্রাউন্ড নেতাদের প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসে সাহস করে নিজেদের গ্রেপ্তার হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খান। বুধবার আদিয়ালা কারাগারে বক্তব্য রাখার সময় ইমরান বলেন, তিনি নিজেই কারাগারে রয়েছেন এবং বাকি নেতাদেরও (কারাগারে থাকার বিষয়ে) ভয় পাওয়া বন্ধ করা উচিত। এ ছাড়া আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা অর্থাৎ আত্মগোপনে থাকা নেতাদের গ্রেপ্তার হতে, সব অভিযোগের মুখোমুখি হতে এবং সবশেষে আদালত থেকে জামিন নেওয়ার নির্দেশ দেন ইমরান খান। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্তারের জেরে ব্যাপক সহিংসতার পর থেকে মুরাদ সাইদসহ অনেক পিটিআই নেতা এখনো আত্মগোপনে আছেন। মূলত গত বছরের আগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ৭১ বছর বয়সি ইমরান খান। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় তার কারাদন্ড হয়েছে। এ ছাড়া ইমরানের বিরুদ্ধে এখনো আরও কয়েক ডজন মামলা চলছে। সব মামলা থেকে জামিন এবং দন্ড স্থগিত করে এখনই ইমরান খানের জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। উলেস্নখ্য, দুর্নীতির মামলায় গত বছরের ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। তার সেই গ্রেপ্তার পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দেশে মারাত্মক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের ফলে পাকিস্তানে যে অস্থিরতা শুরু হয় তা টানা চারদিন অব্যাহত ছিল এবং এতে কমপক্ষে ১০ বিক্ষোভকারীর মৃতু্য ও বহু সামরিক ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়। এ ছাড়া পাকিস্তানের ইতিহাসে সেবারই প্রথমবারের মতো বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে রাওয়ালপিন্ডিতে দেশটির সেনা সদরদপ্তরে (জিএইচকিউ) প্রবেশ করে এবং লাহোরে কর্পস কমান্ডারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে সামরিক বাহিনী ৯ মে'কে 'কালো দিবস' হিসেবে অভিহিত করে এবং সেনা আইনের অধীন বিক্ষোভকারীদের বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে ইমরান কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও তার দল পিটিআইর ওপর নেমে আসে ব্যাপক দমন-পীড়ন। সহিংসতা এবং সামরিক স্থাপনায় হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শত শত পিটিআই কর্মী এবং সিনিয়র নেতাদের কারাগারে বন্দি করা হয়।