এবার আত্মঘাতী ড্রোনের পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার
প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন একটি নতুন আত্মঘাতী ড্রোনের কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করেছেন। ড্রোনটি কীভাবে একটি মক ট্যাঙ্কসহ নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে, সেটাই পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। এ সময় মানববিহীন যানবাহনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কিম।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, গত শনিবার উত্তর কোরিয়ার 'অ্যাকাডেমি অব ডিফেন্স সায়েন্সেসের ড্রোন ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেন কিম। সেখানে তিনি বিভিন্ন ড্রোনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেন।
দৈনন্দিন ব্যবহারের টুপি পরিহিত কিম উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুরবিনের সাহায্যে ড্রোনগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে উড়িয়ে দেওয়া প্রত্যক্ষ করেন। কিম বলেন, 'কৌশলগত পুনরুদ্ধার এবং বহুমুখী আক্রমণকারী ড্রোন' ছাড়াও 'আরও আত্মঘাতী ড্রোন তৈরি করা প্রয়োজন'।
এ সময় কৌশলগত পদাতিক বাহিনী ও বিশেষ অভিযান ইউনিটে ব্যবহার করার জন্য আরও বেশি আত্মঘাতী ড্রোন তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন কিম। পানির নিচে হামলা, কৌশলগত নিরীক্ষণ ও বহুমুখী আক্রমণ করতে পারে আত্মঘাতী ড্রোনগুলো।
কেসিএনএ আরও জানায়, ২৪ আগস্ট উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা করা সব ড্রোন 'বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুগুলোকে সঠিকভাবে শনাক্ত ও ধ্বংস করেছে।' কেসিএনএ বলেছে, 'পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া ক্রমবর্ধমান ড্রোন বহর 'ভূমিতে এবং সমুদ্রে শত্রম্নর লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে বিভিন্ন স্ট্রাইকিং রেঞ্জের মধ্যে ব্যবহার করা হবে।'
এই ড্রোনগুলো 'লোটারিং' যুদ্ধাস্ত্র হিসেবেও পরিচিত। ইউক্রেনের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এ ধরনের অস্ত্রগুলো।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিগুলোয় কমপক্ষে চারটি ভিন্ন ধরনের ড্রোন দেখানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ড্রোনগুলো দেখতে ইসরাইলের তৈরি 'হারোপ' সুইসাইড ড্রোন, রাশিয়ার তৈরি 'ল্যান্সেট-৩' এবং ইসরাইলি 'হিরো ৩০'-এর মতো।
গত কয়েক বছরে দূরপালস্নার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পারমাণবিক কর্মসূচিতে বড় ধরনের অগ্রগতি করেছে উত্তর কোরিয়া। সেই সঙ্গে নিজেদের কৌশলগত যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএফপি