রাশিয়ার বেলগোরোদে রাতভর ইউক্রেনের হামলা, নিহত ৫

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। এতে পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২ জন। রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে 'টেলিগ্রাম' বার্তায় এ তথ্য জানান আঞ্চলিক গভর্নর ভাচেস্স্নাভ গস্নাদকোভ। বেলগ্রোদ অঞ্চলের গভর্নর বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা, শত্রম্নপক্ষের গোলাবর্ষণে পাঁচজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।' ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তথ্যসূত্র : রয়টার্স রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই যুদ্ধে বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করে থাকে। ২০২২ সালে রাশিয়া তার প্রতিবেশী ইউক্রেনের ওপর পূর্ণ-স্কেল আক্রমণের মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু করে। এদিকে, চলতি বছরের গত ৬ আগস্ট ট্যাংক ও সাজোয়া যান (যুদ্ধযান) নিয়ে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে কুরস্কে প্রায় এক হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলের পাশাপাশি তাদের সামরিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার দাবিও করছে। বেলগোরোদের অবস্থান কুরস্কের পাশে। রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর দেশটির ভেতর এই হামলাই ইউক্রেনের সবচেয়ে উলেস্নখযোগ্য আক্রমণ বলে মত বিশ্লেষকদের। শুধু তাই নয়, বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার ভেতর তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারে, তাহলে পুতিনকে শান্তি আলোচনায় বসতে হতে পারে। যদিও কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতিরোধের পাশাপাশি ইউক্রেনের ভেতরও হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, শান্তি আলোচনায় ইউক্রেন আসলেই রাশিয়াকে বাধ্য করতে পারবে কিনা বা রাশিয়া আলোচনায় বসতে রাজি হবে কিনা। রাশিয়া ও ইউক্রেনের ২৩০ বন্দি বিনিময় এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় শনিবার রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই নিজ নিজ পক্ষ থেকে ১১৫ জন করে যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে। ৬ আগস্ট রাশিয়ার কুরস্কে ইউক্রেন বিস্ময়কর হামলা শুরু করার পর এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের বিনিময় হলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার ভূখন্ডের ভেতর কোনো বিদেশি শক্তির এটিই সবচেয়ে বড় আক্রমণের ঘটনা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে রাশিয়ার যে সেনাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তাদের কুরস্ক অঞ্চল থেকে আটক করেছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। মুক্তি পাওয়া এই সেনাদের সবাই এখন বেলারুশে আছেন। তারা রাশিয়ার ফেরার পর তাদের প্রথমে চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং পরে পুনর্বাসন করা হবে। এই বন্দি বিনিময়ের ব্যবস্থা করার জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরব আমিরাতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।