নতুন বইয়ে দাবি
ট্রাম্পের অহংবোধ ও চাটুকারিতা নিয়ে খেলেছিলেন পুতিন
নির্বাচনী অনুদানের অর্থ নিজের ব্যবসায় বিনিয়োগ ট্রাম্পের!
প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
মার্কিন গণতন্ত্রে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং উপদেষ্টাদের আপত্তি সত্ত্বেও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। ট্রাম্পের সাবেক শীর্ষ সহযোগী তার নতুন একটি বইতে এই দাবি করেছেন। তথ্যসূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সিএনএন
ট্রাম্পের দ্বিতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টারের কাছ থেকে পর্দার পেছনের নতুন এই বিবরণ এসেছে। ট্রাম্প যখন তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং মার্কিন কর্মকর্তারা নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করেছেন তখনই এ তথ্য ফাঁস হলো।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত তার স্মৃতিকথা থেকে ম্যাকমাস্টার বলেছেন, ২০১৮ সালে তিনি তার স্ত্রীকে বলেছিলেন, 'এই চাকরির এক বছরের বেশি সময় পর আমি ট্রাম্পের ওপর পুতিনের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বুঝতে পারছি না।'
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ম্যাকমাস্টার ২০১৭ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হয়েছিলেন। তিনি জানান, শুরু থেকেই ভস্নাদিমির পুতিন ও রাশিয়ার আলোচনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করা কঠিন ছিল। ম্যাকমাস্টার জানান, 'অতি আত্মবিশ্বাসী' প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রশাসনের প্রথম দিকে পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট 'একজন নির্দয় সাবেক কেজিবি অপারেটর, যিনি ট্রাম্পের অহংবোধ ও নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে চাটুকারিতা দিয়ে খেলেছেন। শক্তিশালীদের প্রতি তার সখ্য এবং তার বিশ্বাস যে, তিনি একাই পুতিনের সঙ্গে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন- সেই বিষয়টির প্রতি তার দুর্বলতা প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প।'
নির্বাচনী অনুদানের অর্থ নিজের ব্যবসায় বিনিয়োগ ট্রাম্পের !
গত বছরের শেষের দিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওহিওর সিনেট আসনের জন্য গাড়ির ডিলারশিপের মালিক বার্নি মোরেনোকে অনুমোদন দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। ট্রাম্প এমন একজন অপরীক্ষিত প্রার্থীকে অনুমোদন দিয়েছিলেন, যিনি আরও অনেক বিশিষ্ট রিপাবলিকানের তুলনায় কখনোই সরকারি দপ্তরে বা দায়িত্বে ছিলেন না। দুই দিন পর, মোরেনোর প্রচারাভিযান ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্টে প্রায় ১৭ হাজার ডলার খরচ করে। এর পরের মাসে অতিরিক্ত ৭৯ হাজার ডলার খরচ করেন মোরেনো। এই ব্যয় তাকে ফ্লোরিডা ক্লাবের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যয়কারীদের মধ্যে একজন করে তোলে।