জীবনযাপন

দুপুর গড়াতেই গ্রাস করে একরাশ ক্লান্তি...

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষেই একরাশ ক্লান্তি মানুষকে গ্রাস করে। মাথার ওপর সূর্যের খাড়া কিরণ এসে লাগে। একটু বিশ্রাম চায় মানুষের শরীর-মন। বাসায় থাকলে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতে মন চায়। আর কর্মস্থলে থাকলে চেয়ারে হেলান দিয়ে খানিক সময় চোখ বুঁজে দিনের সংক্ষিপ্ত নিদ্রাটা সেরে নেন অনেকে। মধ্য দুপুরের এ ক্লান্তির কারণ উদ্ঘাটন এবং তা থেকে পরিত্রাণে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ পেশাজীবী অফিস শেষে বাসায় ফিরে অনবরত ফোনে অফিসিয়াল নানা আলাপ সারেন, কাজ করেন কম্পিউটারে। এভাবে তাদের বাসাও যেন হয়ে ওঠে অফিস। আবার অনেকেই মধ্যরাত পর্যন্ত টেলিভিশন দেখেন। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। প্রতিদিন নিয়ম করে দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া এবং পরদিন ভোরে বিছানা ছেড়ে দ্রম্নত কাজে বের হওয়ার ফলে মধ্যাহ্নে ক্লান্ত হয়ে পড়ে কর্মজীবীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম দরকার। মানুষের অধিকাংশেরই দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনে খেলাধুলা বা শরীর চর্চার জন্য কোনো সময় বরাদ্দ থাকে না। ফলে প্রাণশক্তি শিগগির নিঃশেষ হয়ে যায়। নিয়ম করে জিমনেসিয়ামে যাওয়া সম্ভব না হলেও দ্রম্নত হাঁটা, জগিং কিংবা বাসায় ট্রেডমিলে দৌড়ানোর মাধ্যমে হালকা গা গরম করে নেওয়া যায়। সন্ধ্যার চেয়ে সকালের শরীরচর্চা দিনের বাকি সময় নিজেকে সজীব ও প্রাণবন্ত রাখতে বেশি সহায়ক। সারাক্ষণ বেশি বেশি চাপ নেওয়ার ফলে মানুষের রক্তের চাপ বেড়ে যায়। আর কাজের প্রতি কমে যায় মনোযোগ। ফলে মাঝদুপুরে ক্লান্তি এসে ঘিরে ধরে। এক্ষেত্রে সব সময় হাসি-খুশি ও ঝামেলামুক্ত থাকার পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত চাপ না নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দুপুরে বেশি করে খাওয়ার চিন্তা থেকে অনেকেই সকালে নাশতা করে না। এদের অনেকেই দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সময়ের খাবার সময় না খেলে তা শরীরে হরমোন নিঃসরণে প্রভাব ফেলে। এতে মানুষ অলস ও জড়তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন যথাসময় সকালের নাশতা সারার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়া সকালের নাশতা হিসেবে সুষম খাবার, পছন্দসই ফল, মাখনের সঙ্গে কয়েকটি টোস্ট খাওয়া যেতে পারে। দুপুরের ক্লান্তি থেকে নিস্তার পেতে আরও বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে রয়েছে- সকালে নাশতার পর অথবা মধ্যাহ্নভোজের আগে অত্যধিক মাত্রায় চা-কফির অভ্যাস পরিহার করা, দুপুরে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া, দুপুরের খাবারে শর্করা, আমিষ ও চর্বির সমন্বয় রাখা, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ, দিনে অন্তত ৮-১০ গস্নাস পানি পান, সকালের নাশতা এবং দুপুরের খাবারে স্ন্যাকস বা জলখাবার পরিহার করা। তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইনডিয়া