ইউক্রেনের হামলা

আমেরিকা ও ইউক্রেনকে নতুন হুঁশিয়ারি দিল রাশিয়া

কুরস্ক অঞ্চলের ঘটনার জন্য দায়ী সবাইকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে

প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন
আমেরিকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রুশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুরস্কে কিয়েভের বাহিনীর অনুপ্রবেশের প্রতিক্রিয়া জানাবে রাশিয়া এবং প্রতিক্রিয়াটা বেশ কঠিনই হবে। শুক্রবার রুশ বার্তা সংস্থা 'তাস'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তথ্যসূত্র : তাস, রয়টার্স ইউক্রেন ও মার্কিন সরকারের উদ্দেশে আনাতোলি আন্তোনোভ বলেন, 'আমি আপনাদের আন্তরিকভাবে জানাচ্ছি, রুশ প্রেসিডেন্ট (ভস্নাদিমির পুতিন) এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আমি দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত যে, কুরস্ক অঞ্চলের ঘটনার জন্য দায়ী সবাইকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।' কিয়েভ বাহিনী গত ৬ আগস্ট কুরস্ক অঞ্চলে একটি বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করে। তারপর থেকে এ অঞ্চলে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং রাশিয়া সরকার সেখানে ফেডারেল পর্যায়ের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। রাশিয়ার প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভ জানিয়েছেন, সীমান্তের কাছাকাছি বিপজ্জনক এলাকা থেকে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার মানুষকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। কুরস্ক অঞ্চলের অন্তর্র্বর্তীকালীন গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভ বলেছেন, এই অঞ্চলের সীমান্ত বরাবর এক লাখ ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে। ইউক্রেনের হামলার ফলে কুরস্ক অঞ্চল ছেড়ে যাওয়া বাসিন্দাদের জন্য রাশিয়ার ২৯টি অঞ্চলে অস্থায়ী আবাসন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, কুরস্ক অঞ্চলে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন চার হাজার ৭০০ জনেরও বেশি সেনা ও ৬৮টি ট্যাংক হারিয়েছে। ইউক্রেনীয় সামরিক কাঠামো ধ্বংস করার জন্য রুশ বাহিনীর অভিযান চলছে। রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যকার ফেরি পরিষেবা বন্ধ এদিকে, রুশ জাহাজে ইউক্রেনীয় হামলার পর দক্ষিণ রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যকার ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রুশ পরিবহণ মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার তেলবাহী গাড়ি বহনকারী একটি জাহাজে হামলা করে ইউক্রেন। এরপরই ফেরি পরিষেবা বাতিল করে রাশিয়া। শুক্রবার ইউক্রেনীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার ক্রাসনোডার অঞ্চলের পোর্ত কাভকাজ বন্দরে এটি একটি ফেরি ধ্বংস করেছে। কৃষ্ণ সাগরের একটি অন্যতম বড় বন্দর এটি। বন্দরটি ক্রিমিয়ায় জ্বালানি ও অস্ত্র সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হতো। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের থেকে ক্রিমিয়াকে দখল করে নেয় রাশিয়া। এক বিবৃতিতে রুশ পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রিমিয়ায় সাময়িকভাবে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্দরটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছতার কাজ চলছে। মন্ত্রণালয়টি আরও জানায়, ক্রিমিয়ায় কার্গো পাঠানোর জন্য বিকল্প একটি রুট ব্যবহার করা হতে পারে। জরুরি পরিষেবার বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা 'আরআইএ' জানিয়েছে, ইউক্রেনের হামলার কারণে সৃষ্ট আগুনে কার্যত বন্দরের অবকাঠামোগত কোনো ক্ষতি না হলেও ফেরিটির অর্ধেক ডুবে গেছে। এর আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ফেরিটি ডুবে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল। তিমিরুর শহরের জেলা প্রধান ফিদর বিবেনকভ বলেছেন, ফেরিটিতে জ্বালানি বহনকারী ৩০টি গাড়ি ছিল। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, হামলার পর ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল।