ভারতে ক্ষমতাসীন ১৫১ জন সংসদ সদস্য (এমপি) এবং বিধায়কের (এমএলএ) বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে ১৬ জনের বিরুদ্ধে। এই তালিকায় থাকা সবচেয়ে বেশি আইনপ্রণেতা পশ্চিমবঙ্গের। এসব এমপি এবং এমএলএ তাদের নির্বাচনী হলফনামায়ই এ ধরনের মামলা থাকার কথা উলেস্নখ করেছিলেন। তথ্যসূত্র : পিটিআই, এনডিটিভি
সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) নামে একটি সংস্থা ভারতে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলোর সময় নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামাগুলো নিয়ে জরিপ চালায়। জরিপে মোট চার হাজার ৮০৯ জন এমপি-এমএলএ'র মধ্যে চার হাজার ৬৯৩ জনের হলফনামা পরীক্ষা করে সংস্থাটি। জরিপে দেখা যায়, ভারতের ১৬ জন এমপি এবং ১৩৫ জন এমএলএ'র বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে। এই তালিকায় সর্বোচ্চ ২৫ জনের নাম এসেছে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের। এর বাইরে অন্ধ্রপ্রদেশের ২১ জন এবং ওড়িশার ১৭ জন এমপি-এমএলএ নারী নির্যাতন মামলার আসামি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতের দুজন এমপি এবং ১৪ জন এমএলএ ধর্ষণ মামলার আসামি। ভারতীয় দন্ডবিধিতে এ ধরনের অপরাধের সাজা সর্বনিম্ন ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এমপি-এমএলএদের বিরুদ্ধে এসব মামলায় কারও কারও বিরুদ্ধে একই ভুক্তভোগীকে বারবার নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে। নারী নির্যাতন মামলার আসামি এমপি-এমএলএদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৪ জন নেতা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)। এরপর কংগ্রেসের ২৩ জন এবং তৃতীয় তেলেগু দেশম পার্টির নেতা রয়েছেন ১৭ জন। বিজেপি-কংগ্রেস উভয় দলেরই পাঁচজন করে আইনপ্রণেতা রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
জরিপের এই ফলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এডিআর। তারা জোর দিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর অপরাধমূলক অতীত থাকা প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত, বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত সংসদ সদস্য এবং এমএলএদের বিরুদ্ধে দ্রম্নত পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত নিশ্চিত করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এডিআর।