ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই সম্প্রতি রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। রুশ এই অঞ্চলের বেশ গভীরে ইউক্রেনীয় সেনারা ঢুকে পড়েছে এবং বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করে চলেছে কিয়েভের বাহিনী। এই ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের অনুপ্রবেশ শান্তি আলোচনার যে কোনো সম্ভাবনাকে শেষ করে দিয়েছে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু, রয়টার্স
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার বলেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের অনুপ্রবেশ 'যে কোনো শান্তি আলোচনার সম্ভাবনাকে শেষ করে দিয়েছে।' মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে জাখারোভা কুরস্কে কিয়েভের আক্রমণকে 'সন্ত্রাসী অভিযান' বলে নিন্দা করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের 'হামলার পর কেউ তাদের (ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে মোটেও আলোচনা করবে না।' জাখারোভা বলেন, 'ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর আমাদের ভূখন্ডে আক্রমণ করার এই প্রচেষ্টা দসু্য জান্তার সঙ্গে যে কোনো আলোচনার সম্ভাবনাকে বাতিল করে দিয়েছে।'
জাখারোভা আরও বলেন, রুশ ভূখন্ডে আগ্রাসন চালানোর মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার অবস্থানকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন। তিনি তার দেশের নাগরিকদের চোখে তার ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে আরও তহবিল পাওয়ার আশা করেছিলেন। রাশিয়ার মাটিতে হামলার বিষয়ে পশ্চিমা রাজনীতিবিদদের বিবৃতিকে 'মিথ্যা' হিসেবে আখ্যায়িত করে নিন্দা করেন তিনি। ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল, কিয়েভ তাদের সমর্থন ছাড়াই হামলার পরিকল্পনাটি করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করেছে।
জাখারোভা বলেন, 'আমেরিকা, যুক্তরাজ্য এবং অন্য ন্যাটো দেশগুলো কেবল আদর্শিক অনুপ্রেরণাদাতা এবং পৃষ্ঠপোষকই নয়, বরং আক্ষরিক অর্থে তারা কিয়েভ সরকারকে রাশিয়ান ফেডারেশনের ভূখন্ডে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার নির্দেশ দিচ্ছে। তাই তাদের পশ্চিমাদের সমর্থন ছাড়াই এই ঘটনা ঘটছে এমন বিবৃতি মিথ্যা।'
এদিকে, কুরস্কে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে ইউক্রেন। তারা বলেছে, আমেরিকার তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে পন্টুন সেতু ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। তাদের পক্ষ থেকে বুধবার এ দাবি করা হয়। কিয়েভের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কুরস্কে রুশ বাহিনীর রসদ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য বেশকিছু সেতু ধ্বংস করা হয়েছে।