গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫২
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নঙ্কেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যকার এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত না করেই তিনি মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করেছেন
প্রকাশ | ২২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জন গাজা সিটির একটি স্কুলে হামলায় নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দেইর এল বালাহ শহরের একটি মার্কেটে হামলার ঘটনায় আরও ৯ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নঙ্কেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যকার এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত না করেই তিনি মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করেছেন।
এদিকে ইসরাইলের ইয়েদিওথ আহরোনোথ পত্রিকা জানিয়েছে, ছয় ইসরাইলি বন্দির মরদেহ মঙ্গলবার গাজা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সম্ভবত খান ইউনিসে ইসরাইলি সামরিক হামলার সময় একটি টানেলে গ্যাস লিক থেকে তাদের মৃতু্য হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নঙ্কেন জানান, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন নেতানিয়াহু। এরপরই হামাসকেও তা মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
সোমবার তেল আবিবে অবস্থানকালে বিস্নঙ্কেন বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার খুবই কার্যকর বৈঠক হয়েছে। সেখানে নেয়ানিয়াহু তাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, তা তিনি মেনে নিচ্ছেন। এখন হামাস তা মেনে নিক।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বন্দিদের ঘরে ফেরানোর ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার এমন ভালো সুযোগ সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না। এখন গাজায় স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি নির্ভর করছে হামাসের ওপর। ইসরাইলের পর তার কাতারে সফরে যাওয়ার কথা। কাতারও ইসরাইল-হামাসের মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিরতি ও তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।
মধ্যস্থতাকারীদের একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবার হয়ে যাবে, তবে ইসরাইল-ইরানের মধ্যে উত্তেজনার ফলে এই সংঘাত আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে মিসরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তার সঙ্গে বিস্নঙ্কেনের বৈঠক সফল হয়েছে। এ সময় কেউ যেন এমন কোনো কাজ না করে, যাতে প্রস্তাবটি বানচাল হয়ে যায়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরাইল। প্রায় ১০ মাস ধরে চলা এই সংঘাতে কমপক্ষে ৪০ হাজার ১৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯২ হাজার ৮৫৭ ফিলিস্তিনি।