নতুন যুদ্ধের শঙ্কা

বেলারুশ সীমান্তে লক্ষাধিক ইউক্রেনীয় সেনা

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে বেলারুশও

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো
টানা আড়াই বছর ধরে ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযান' চালাচ্ছে রাশিয়া। আর এর মধ্যেই প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এরই মধ্যে রুশ ভূখন্ডের অনেকটা ভেতরে চলে গেছে তারা। আর এসব ঘটনার মধ্যেই বেলারুশ সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা জড়ো করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের এই পদক্ষেপের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সীমান্ত অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে বেলারুশও। আর এতেই বাড়ছে নতুন যুদ্ধের শঙ্কা। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা বেলারুশ সীমান্তে ইউক্রেন এক লাখ ২০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে বলে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছেন। রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এই দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এ কথা জানিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিনের কট্টর মিত্র লুকাশেঙ্কো রোববার বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় মিনস্ক তার সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুরো সীমান্তে মোতায়েন করেছে। ইউক্রেন অবশ্য বেলারুশ সীমান্তে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুকাশেঙ্কো বলেন, 'তাদের আক্রমণাত্মক নীতি দেখে, আমরা সেখানে গেছি এবং কিছু পয়েন্টে সেনাদের মোতায়েন করে রেখেছি। যদি যুদ্ধ হয়, সেক্ষেত্রে পুরো সীমান্তে আমাদের সামরিক বাহিনী প্রতিরক্ষায় কাজ করবে।' লুকাশেঙ্কো 'কিয়েভের কর্মকর্তাদের কিছু অত্যন্ত গুরুতর হুমকি দিয়েছেন'। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে বলেছেন, ইউক্রেন যদি বেলারুশিয়ান ভূখন্ডে প্রবেশের চেষ্টা করে, তাহলে তারাও আক্রমণ চালাবে। অবশ্য ইউক্রেন সীমান্তে ঠিক কতজন বেলারুশিয়ান সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, তা বলেননি লুকাশেঙ্কো। 'ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ'র মিলিটারি ব্যালেন্স ২০২২-এর মূল্যায়ন অনুসারে বেলারুশের পেশাদার সেনাবাহিনীতে প্রায় ৪৮ হাজার সেনা এবং প্রায় ১২ হাজার রাষ্ট্রীয় সীমান্তরক্ষী রয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে শনিবার কিয়েভ জানিয়েছিল, সীমান্তে বেলারুশের মোতায়েন করা সেনার কোনো উলেস্নখযোগ্য উপস্থিতি তাদের চোখে পড়েনি। সীমান্তে ইউক্রেনীয় সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশের পর তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানকার দ্বিতীয় আরেকটি কৌশলগত সেতু ধ্বংস করে দিয়েছে।