থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৩৭ বছর বয়সি পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নকে আনুষ্ঠানিক নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির রাজা। নির্বাচনে জয়লাভ করার দুদিন পর দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণও করেছেন পেতংতার্ন।
পেতংতার্ন বিতর্কিত সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী ও ফেই থাই পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে। রোববার (১৮ আগস্ট) ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার পর সাবেক থাকসিনপন্থি একটি টেলিভিশন স্টেশনের সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নের কাছ থেকে সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক চিঠি গ্রহণ করেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
এই অনুষ্ঠানে পেতংতার্নের বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাও (৭৫) উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানস্থলে সম্মুখসারিতে পেতংতার্নের স্বামীর পাশে ছিলেন তিনি।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্রেথা থাভিসিনকে গত বুধবার সাংবিধানিক আদালত পদচু্যত করেন। এর দুদিন পর গত শুক্রবার পেতংতার্নকে নতুন ও সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে দেশটির পার্লামেন্ট। পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়ে। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৫টি।
আইনপ্রণেতাদের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর পেতংতার্ন স্বীকার করেন, তার অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। তবে সব থাই নাগরিকের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে ও তাদের ক্ষমতাবান করার চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি আছেন তিনি। তিনি বলেন, 'সরকার প্রধান হিসেবে পার্লামেন্টের সঙ্গে আমি খোলা মনে কাজ করব। দেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্যে সব ধরনের ধারণা উন্মুক্ত থাকবে।' তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এএফপি