ইউক্রেনের রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভেস্তে গেছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে সম্প্রতি কাতারের মধ্যস্থতায় দোহায় বৈঠক করতে রাজি ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন। কিন্তু রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা এই প্রক্রিয়া থামিয়ে দিয়েছে। তথ্যসূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট, রয়টার্স, বিবিসি
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এই যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে কিয়েভ ও মস্কো উভয়ই হামলা বন্ধ করবে- এমন একটি চুক্তিতে আলোচনার জন্য ইঙ্গিত দিয়েছিল। এই যুদ্ধ দুই দেশেই ব্যাপক দুর্ভোগ এবং অর্থনৈতিক অশান্তি সৃষ্টি করেছে। কিন্তু রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল কুরস্কে আকস্মিক অনুপ্রবেশ করে করে ইউক্রেন। কিয়েভ সামরিক অভিযান জোরদার করায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় 'জল ঢেলে' দিয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, কুরস্ক অঞ্চলের ৩৫ কিলোমিটার ভেতরে তাদের সেনারা ঢুকে পড়েছে। সেখানে তারা এক হাজার ১৫০ বর্গকিলোমিটার দখলে নিয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি বসতিও রয়েছে। এই হামলার ফলে গস্নুশকভো জেলায় সেইম নদীর একটি সেতু পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলার ১১ দিন পরও রুশ ভূখন্ডে অবস্থান করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
এখন স্বাভাবিকভাবেই কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনে হামলা বাড়াবে রাশিয়া। সব মিলিয়ে এখনই ইউক্রেন যুদ্ধ থামার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কূটনীতিক 'ওয়াশিংটন পোস্ট'কে বলেন, কুরস্কে ইউক্রেন বাহিনীর হামলা অব্যাহত রাখার কারণে রুশ কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতির আলোচনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। তারা কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছেন। তবে সূত্রটি বলছেন, রুশ কর্মকর্তারা আলোচনা বাতিল করার আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখন পর্যন্ত দেননি। কিন্তু তারা অবস্থান পুনর্মূল্যায়নের জন্য সময় চেয়েছেন।
পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালানোর
পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন : মস্কো
এদিকে, রুশ সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলের পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্রে ইউক্রেন হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছে মস্কো। একই সঙ্গে পুতিন প্রশাসন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ওই স্থাপনায় কোনো হামলা হলে রাশিয়া তার 'কঠোর জবাব' দেবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার (১৭ আগস্ট) এক বিবৃতিত বলেছে, ইউক্রেন কুরস্ক পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করার পাশাপাশি এ ধরনের একটি 'উসকানি'র দায় মস্কোর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, ইউক্রেন ওই স্থাপনায় হামলা চালালে রাশিয়া কঠোরভাবে তার জবাব দেবে।