শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১
কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল

চিকিৎসককে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে : ময়নাতদন্ত

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
চিকিৎসককে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে : ময়নাতদন্ত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসককে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভিকটিমের পেলভিক গার্ডল ভেঙে গেছে। চিকিৎসকদের মতে, একজন ধর্ষণের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। পেলভিক গার্ডল ভেঙে যাওয়াই সাক্ষ্য দেয়, একাধিক ব্যক্তি অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, চিকিৎসকের মৃতু্যর সময় ছিল রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে। ভিকটিমের নিচের ও ওপরের অংশের ঠোঁট, নাক, গাল এবং নিচের চোয়ালসহ তার শরীরে বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার মাথার খুলির টেম্পোরাল হাড়ে আঘাত এবং তার মাথার খুলির সামনের অংশে রক্ত ??জমে থাকার তথ্যও দেওয়া হয়েছে। ভিকটিমটির মুখ চেপে রাখা হয়েছিল এবং তার মাথা দেওয়ালে চাপা ছিল, যাতে তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে না পারেন। তার চশমা টুকরা-টুকরা হয়ে গেছে, যা প্রমাণ করে তার মুখে বারবার আঘাত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ১৫০ গ্রাম বীর্য বেরিয়েছে, যা একাধিক ব্যক্তির ধর্ষণের প্রমাণ দেয়।

এদিকে, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চিকিৎসকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ১৪ আগস্ট কলকাতার আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মমতা সরকারকে প্রশ্ন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট মমতা সরকারকে বলেছে হাসপাতাল বন্ধ করতে। এতে অন্তত সব রোগী নিরাপদ থাকবে। একই সঙ্গে কলকাতার আদালত সরকারের কাছে জানতে চায়, যখন জনতা হাসপাতালে পৌঁছেছিল, তখন আপনি কী করেছেন? এ বিষয়ে মমতা সরকার বলেছে, পুলিশের কাছে ভিড়ের কোনো তথ্য নেই।

আদালতের এমন প্রশ্নের পরপরই কিছু প্রশ্ন সামনে আসে। কেন ১৪ আগস্ট সাত হাজার লোক ভিড় করে হাসপাতালে আন্দোলন করেছিল, এ ছাড়া ধর্ষণের সঙ্গে কতজন জড়িত। কারণ পুলিশ, সরকার, পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট তিনটি ভিন্ন গল্প বলছে। এদিকে, শিক্ষানবিস চিকিৎসকের সঙ্গে এ ঘটনার পরও কেন ওই হাসপাতালের সেমিনার হলটি এখন পর্যন্ত সিল করা হয়নি?

এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। সহকর্মীরাও জড়িত থাকতে পারে বলে পরিবার জানিয়েছে। সন্দেহের দৃষ্টি সেই ফুড ডেলিভারি বয়কেও, যে শেষবার ভিকটিম ও তার বন্ধুদের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে