ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অগ্রগতি অব্যাহত রাখার পাল্টাপাল্টি দাবি করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন। বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের সেনাবাহিনী এমন দাবি করেছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে শুরু করা হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছে তারা। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রুশ ভূখন্ডে বিদেশি সেনাদের করা সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। অন্যদিকে, কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের দখলে নেওয়া একটি গ্রাম পুনর্দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। নিকটবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে 'অতিরিক্ত সেনা' পাঠানোর কথাও জানিয়েছে দেশটি। তথ্যসূত্র : এএফপি, রয়টার্স
গত ৬ আগস্ট কুরস্কে অনুপ্রবেশ করে হামলা শুরু করে ইউক্রেন। এর মধ্য দিয়ে প্রায় আড়াই বছর ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে প্রথমবারের মতো রুশ ভূখন্ডের অভ্যন্তরে সরাসরি হামলা করল দেশটি।
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, কুরস্কে আসা ইউক্রেনের দুই হাজার ৮৬০ সেনা নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ধ্বংস করা হয়েছে ৪১টি ট্যাংক, ৪০টি সাজোঁয়া যান। বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী ২৩টি ইনফ্রেন্টারি ফাইটিং যান, ২১৩টি সাজোঁয়া যুদ্ধযান, ১০২টি গাড়ি, চারটি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সিস্টেম, ছয়টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম, দুটি পরিবহণ এবং লোডিং গাড়ি, ২২টি ফিল্ড আর্টিলারি গান এবং তিনটি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্টেশন হারিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার কুরস্কের সুদঝা নামে একটি শহর দখল করার কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ওলেক্সান্দার স্রিসকি জানান, গত সপ্তাহে আকস্মিক অভিযান শুরুর পর তারা কুরস্কের ৩৫ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করতে পেরেছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৫০ স্কয়ার কিলোমিটার অঞ্চল এবং ৮২টি এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তারা।
সুদঝা শহরে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্যাস টার্মিনাল। সেখান থেকে রাশিয়ার গ্যাস ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে যায়। ধারণা করা হচ্ছিল, এই গ্যাস টার্মিনালটি দখল করার পরিকল্পনা করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। তবে শুক্রবার রাশিয়া জানাল কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।