ইউক্রেনে পরমাণু বিদু্যৎকেন্দ্রে আগুন
প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতে হঠাৎই বিস্ফোরণের জেরে আগুন ধরে গেল জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদু্যৎকেন্দ্রে। রোববার রাতে বিদু্যৎকেন্দ্রের কুলিং টাওয়ারের লেগে যাওয়া আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে ইউক্রেন সরকারের দাবি। এর জেরে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)!
ইউক্রেন এবং রাশিয়া দু'পক্ষই এই অগ্নিকান্ডের দায় অস্বীকার করেছে। পাশাপাশি অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে পরস্পরের দিকে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অভিযোগ ইউক্রেন সেনাই ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। অন্যদিকে, জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদু্যৎকেন্দ্রের মস্কো-নিযুক্ত প্রধান ভস্নাদিমির রোগোভ এবং জাপোরিঝিয়ার রুশ গভর্নর ইয়েভজেনি বালিটস্কি এ ঘটনার জন্য ইউক্রেনের সেনাকে দায়ী করেছেন।
রোবরার রাতের অগ্নিকান্ডের পর জাপোরিঝিয়ার ছটি চুলিস্নর সব ক'টিই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে রাশিয়া জানিয়েছে।
২০২২ সালে যুদ্ধের গোড়াতেই ইউক্রেনের ওই পরমাণু বিদু্যৎকেন্দ্রটির দখল নিয়েছিল রুশ সেনা। এখনো পরমাণু বিদু্যৎকেন্দ্র এবং তার আশপাশের অঞ্চল রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদু্যৎকেন্দ্রের অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের এনেরহোদার শহরের অদূরে ডেনিপার নদীর অববাহিকায় কাখোভকা জলাধারের তীরে। ডনবাস অঞ্চল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার এবং রাজধানী কিভের ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এই পরমাণু কেন্দ্র ইউক্রেনের অন্যতম বিদু্যৎ সরবরাহ কেন্দ্র। জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদু্যৎ কেন্দ্রে মোট ছটি চুলিস্ন রয়েছে।
যুদ্ধের আগে ওই পরমাণুকেন্দ্র ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চলে বিদু্যৎ সরবরাহ করত। ওই পরমাণু কেন্দ্র থেকে দেশের মোট পরমাণু শক্তির অর্ধেকই উৎপাদিত হতো। কিন্তু ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ঘোষণার পরেই সেখানে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ক্ষয়ক্ষতির কারণে ব্যাহত হয় উৎপাদন।
১৯৮৬ সালে বিস্ফোরণে ইউক্রেনের (তৎকালীন অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন) চেরনোবিলের দু'টি পরমাণু চুলিস্ন উড়ে যাওয়ায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়েছিল। তার পর ওই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাময়িক ভাবে চেরনোবিলেরও দখল নিয়েছিল পুতিন বাহিনী। পরে তারা সেখান থেকে সরে যায়।