আমেরিকার আশঙ্কা
চলতি সপ্তাহেই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিই হামলা থেকে বিরত রাখবে ইরানকে
প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
চলতি সপ্তাহে ইসরাইলের ওপর বড় ধরনের হামলা করতে পারে ইরান, এমন দাবি করেছে আমেরিকা। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, 'চলতি সপ্তাহেই ইসরাইলের ওপর বড় ধরনের আক্রমণ করতে পারে ইরান।' তিনি আরও বলেছেন, 'আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ ওই হামলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।' তথ্যসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমানো নিয়ে কথা বলেছেন।
কারবি বলেন, 'সব নেতাই আবারও বলেছেন, ইসরাইলের নিজেকে রক্ষা করার অধিকার আছে। আর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ুক, সেটা তারা চান না। নেতারা বলেছেন, তারা এটাও চান না যে, ইরান বা তার সহযোগীরা কোনো রকম আক্রমণ করুক।'
সোমবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ইউরোপের চার দেশের নেতার একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা ইরানের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন ইসরাইলকে আক্রমণ না করে। এ ধরনের আক্রমণ হলে আঞ্চলিক সুরক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।'
তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়ার মৃতু্যর পরই ইরান জানিয়েছিল, এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। হানিয়ার মৃতু্যর দায় ইসরাইল স্বীকার করেনি, আবার খারিজও করেনি। তবে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর ইসরাইল জানিয়েছিল, হামাসের শীর্ষ নেতাদের তারা মারতে চায়।
হামাসকে 'সন্ত্রাসবাদী' সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে আমেরিকা, ইইউ, ইসরাইলসহ কয়েকটি দেশ।
এদিকে ইরান আক্রমণ করতে পারে মনে করে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি অনেকটাই বাড়িয়েছে আমেরিকা। রোববার পেন্টাগন জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ইউএসএস আব্রাহাম লিংকনকে দ্রম্নত পারস্য উপসাগরে পাঠাতে বলেছেন।
এ ছাড়া মার্কিন সাবমেরিন ইউএসএস জর্জিয়াও সেখানে যাচ্ছে। এই সাবমেরিনের সঙ্গে গাইডেড মিসাইল যুক্ত করা যায়।
সোমবার জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। শলৎস গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তির ওপর জোর দিয়েছেন। জার্মান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শলৎস ইরানের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, এই দুই পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিই ইসরাইলে হামলা থেকে বিরত রাখবে ইরানকে
শুধু গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তিই ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ হামলা থেকে ইরানকে বিরত রাখতে পারে। মঙ্গলবার তিনজন সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুই সপ্তাহ আগে ইরানের রাজধানীতে একটি গেস্ট হাউসে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়। ইরান এজন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে এবং এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
ইরানের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা আলোচনা ব্যর্থ হলে বা ইসরাইল আলোচনা টেনে নিচ্ছে বলে বুঝতে পারলে ইরান হিজবুলস্নাহর মতো মিত্রদের সঙ্গে সরাসরি হামলা চালাবে। ইরানের আরও দুটি সূত্র জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি আলোচনায় একজন প্রতিনিধি পাঠানোর কথা ভাবছে তেহরান। এই প্রতিনিধি সরাসরি বৈঠকে যোগ দেবেন না। কিন্তু আলোচনা চলাকালে 'কূটনৈতিক যোগাযোগের একটি লাইন বজায় রাখার জন্য' পর্দার আড়ালে আলোচনা চালাবেন ওই প্রতিনিধি।