ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নতুন প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং যুদ্ধের পুরোপুরি অবসান চান বলে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে জানিয়েছেন। তার এই বার্তা ইসরাইলকে মিসর ও কাতারের আলোচনাকারীরা পৌঁছে দিয়েছে বলে রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম 'সিএনএন'র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চান কিনা এটি স্পষ্ট নয়। মধ্যস্থতাকারী দেশের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, 'কিন্তু কেউ জানে না নেতানিয়াহু কী চান।'
সূত্রটি আরও জানিয়েছেন, হামাস ও ইসরাইলের যুদ্ধ যেন আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ না নেয়, সেজন্য যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হতে ইসরাইলকে আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় প্রায় ১২০০ ইসরাইলি ও বিদেশি। ওইদিন দুই শতাধিক ইসরাইলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে দখলদার ইসরাইল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনাও।
১০ মাসের বেশি সময় ধরে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৭৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার এক দশমিক ৮ শতাংশ। আহত হয়েছেন ৯২ হাজার ০২ জন।
ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বু্যরো জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো কয়েক হাজার লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখন্ডে তার নৃশংস হামলা অব্যাহত রেখেছে। দক্ষিণ গাজায় ৭৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি গত কয়েকদিনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।