পাল্টা হামলার আতঙ্ক

ইসরাইলকে রক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন পাঠাল আমেরিকা

ইরান ও লেবাননের হিজবুলস্নাহর হুমকির পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ইসরাইল

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
যুদ্ধবিমান বহনকারী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন
ইসরাইলকে রক্ষায় মধ্যপ্রাচ্যে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী একটি সাবমেরিন পাঠিয়েছে আমেরিকা। সাবমেরিনে থাকা এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হলো- এগুলো সঠিক নিশানায় আঘাত হানতে অত্যন্ত কার্যকর। ইরানের হুমকির পর ইসরাইলের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিত আমেরিকা। ইসরাইলকে ফোন করে এই পদক্ষেপের কথা জানান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, আনাদোলু মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েন করার পাশাপাশি বিমানবাহী একটি রণতরীও দ্রম্নত মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। বিমানবাহী রণতরী 'ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন' এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের পথে ছিল। এটিকে আরও দ্রম্নত গন্তব্যে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রণতরীতে এফ-৩৫এস যুদ্ধবিমান রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় হিজবুলস্নাহ ও হামাস নেতাদের হত্যার পর একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। পেন্টাগন আরও জানিয়েছে, ইরান ও লেবাননের হিজবুলস্নাহর হুমকির পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ইসরাইল। এ নিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যই ওই সাবমেনির পাঠিয়েছে আমেরিকা। ইরানের যে কোনো আক্রমণ থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করতে সাহায্য করার জন্য আমেরিকার দৃঢ় সংকল্পের ইঙ্গিত দিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ওয়াশিংটন তার মিত্রকে রক্ষা করার জন্য 'সব ধরনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেবে'। গত জুলাই তেহরানে হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিক্রিয়া কীভাবে এবং কখন হতে পারে, এর কোনো ইঙ্গিত বুঝতে ইরানকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইরান কী ধরনের প্রতিশোধ নিতে পারে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইরানিরা তাদের মাটিতে হামাস নেতা হানিয়াকে হত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে এবং এর শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। হানিয়া হত্যাকান্ড নিয়ে ইসরাইল এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর নেপথ্যে ইসরাইল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ৩১ জুলাই ইরান সফররত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হন। ইরানের ধারণা, এই হত্যাকান্ড ইসরাইলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদই করেছে। কারণ, এর আগেও এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে মোসাদ। এরপর থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে। এর এক দিন আগে লেবাননের বৈরুতে হত্যা করা হয় হিজবুলস্নাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে। ইরান বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও ইসরাইলে হামলা থেকে পিছু হটবে না তেহরান। আর এ কারণেই বেশি চিন্তিত বাইডেন।