ধনখড়ে 'অতিষ্ঠ'

রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার পথে বিরোধীরা

কখনো রাজ্যসভায় হাসিঠাট্টার ছলে সমাজবাদী নেত্রী জয়া বচ্চনকে কটাক্ষ, কখনো দুর্ব্যবহার, আবার বিরোধী নেতার কণ্ঠরোধ!

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়
ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর এমপিদের সংঘাত চরমে উঠেছে। শুক্রবার বর্ষাকালীন অধিবেশনের শেষদিনে একের পর এক বিরোধীদলের নেতাদের সঙ্গে বাগ্‌?বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন তিনি। কখনো রাজ্যসভায় হাসিঠাট্টার ছলে সমাজবাদী নেত্রী জয়া বচ্চনকে কটাক্ষ, কখনো দুর্ব্যবহার, আবার বিরোধী নেতার কণ্ঠরোধ! একের পর এক অভিযোগে রাজ্যসভার অধিবেশন পর্ব উত্তাল হয়েছিল। তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ সেই বিরোধ এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে ধনখড়কে 'উৎখাত' করতে একটি প্রস্তাব আনতে চলেছে বিরোধী দলগুলো। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে নাকি ৮০ জন এমপি সংশ্লিষ্ট নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। বিরোধীদের প্রধান তিনটি অভিযোগ, এক. নির্লজ্জ ও ধারাবাহিকভাবে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজ্যসভার অধিবেশন পরিচালনা করেন তিনি। দুই. পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে বিরোধীদের মতামত প্রকাশের জন্য যথেষ্ট জায়গা ও সময়ের লক্ষণীয় অভাব রয়েছে। তিন. বিরোধী দলের নেতাদের বারবার মতপ্রকাশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কীভাবে আনা যায় অনাস্থা প্রস্তাব? অনাস্থা প্রস্তাব শুধু রাজ্যসভায় পেশ করা যেতে পারে, লোকসভায় নয়। ১৪ দিনের আগাম নোটিশ দেওয়ার পর আনা হতে পারে প্রস্তাব। প্রস্তাবে রাজ্যসভার মোট সদস্যের ৫০ শতাংশের অনুমোদন প্রয়োজন। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে প্রস্তাব পাস করার পর সেটিকে লোকসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। প্রস্তাবটি বিবেচনাধীন থাকাকালে চেয়ারম্যান অধিবেশন পরিচালনা করতে পারেন না। তিনি উপস্থিত থাকতে, কথা বলতে এবং আলোচনায় অংশ নিলেও থাকে না ভোটাভুটির অধিকার। সপ্তাহখানেক আগেই রাজ্যসভার অধিবেশনে জয়া-ধনখড় দ্বৈরথ চরমে উঠেছিল। স্বামী অমিতাভ বচ্চনের নাম ব্যবহার নিয়ে বাদানুবাদ শুরু। সেই দিন বিষয়টি লঘুভাবে নিলেও গত শুক্রবার বক্তৃতা করতে উঠে শুরুতেই ধনখড়ের কড়া সমালোচনা করেন জয়া। সেই বক্তৃতা অসমাপ্ত রেখেই জয়াকে হাত তুলে থামিয়ে দেন চেয়ারম্যান। জয়া বচ্চনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'আমাকে শেখানোর দরকার নেই।' তুমুল হইচই ও বাদানুবাদের পর ধনখড়ের বক্তব্যের জবাবে বিরোধী শিবিরের এমপিরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। কিন্তু ধনখড় তার অবস্থানে অনড় ছিলেন। এরপরই জয়ার সমর্থনে রাজ্যসভার কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া। পরে তৃণমূল এমপি ডেরেক ও'ব্রায়েনের নেতৃত্বে বাকি বিরোধী এমপিরাও রাজ্যসভা ত্যাগ করেন। পরে জয়া বচ্চন জানান, চেয়ারম্যান যেভাবে বিরোধী এমপিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। মলিস্নকার্জুন খাড়্‌গের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তার।