লেবাননে ফের ইসরাইলি হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত
প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ইসরাইলি বিমান হামলায় লেবাননে সামের আল-হাজ নামে হামাসের আরেক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এ সময় তার একজন দেহরক্ষীও নিহত হয়েছেন। শুক্রবার লেবাননের সিডন শহরের ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে আইন আল-হিলওয়েহ নামে একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরের কাছে নিহত হন সামের। একটি গাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতেই হামাসের ওই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ও তার দেহরক্ষী নিহত হন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
উলেস্নখ্য, গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকেই কাতার ও লেবাননে বাস করেন। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুলস্নাহ হামাসের মিত্র।
জানুয়ারিতে বৈরুতের উপকণ্ঠে একটি ইসরাইলি হামলায় হামাসের উপ-প্রধান সালেহ আরৌরি নিহত হন। গত সপ্তাহে একই এলাকায় একটি হামলায় হিজবুলস্নাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকুর নিহত হন।
শুকুর নিহতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে হত্যা করা হয়। ইরান ও তার আঞ্চলিক মিত্র হিজবুলস্নাহ ও হামাস এসব হত্যার জন্য ইসরাইলকে দোষারোপ করেছে এবং প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ইসরাইলের। গাজায় ইসরাইলি বাহিনী (আইডিএফ) অভিযান শুরুর পর থেকে হামাস ও গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে হিজবুলস্নাহ, পাল্টা হামলা শুরু করে আইডিএফও। দশ মাস ধরে গাজা উপত্যকা এবং ইসরাইল লেবানন সীমান্তে সংঘাত চলছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এ হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরাইলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওইদিনই ফিলিস্তিনি ভূখন্ড গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় গাজায় ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯১ হাজার।