আজকের যায়যায়দিন

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নির্বাচনে হেরে যান তাহলে সেই পরাজয় তিনি শান্তিপূর্ণভাবে মেনে নেবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস বলেছেন, যদি ট্রাম্প জিতে যান, তাহলে তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে না এবং আমেরিকার জনগণের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। তথ্যসূত্র : এএফপি

২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে অধিবেশন চলাকালে হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থকরা। এতে হতাহত হয়েছিলেন শতাধিক পুলিশ ও জনগণ। হামলার উসকানি দিয়েছিলেন ট্রাম্প নিজে।

গত বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম 'সিবিএস'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনাকে স্মরণ করে বাইডেন বলেন, 'যদি ট্রাম্প হেরে যান তাহলে কী ঘটবে- তা নিয়ে আমি খানিকটা উদ্বিগ্ন। কারণ তিনি তখন যেমন ছিলেন, এখনো তেমনই আছেন। আমরা এই ব্যাপারটি গুরুত্ব দিচ্ছি না।'

এদিকে, বাইডেন যেদিন এ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, সেদিনই উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণা সফরে যান কমলা হ্যারিস। সেই সভায় তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থা কুক্ষিগত করার অভিযোগ তোলেন। সেই সঙ্গে মার্কিন সংবিধান পরিবর্তনের যে হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, তাও স্মরণ করিয়ে দেন। ট্রাম্পের নাম উলেস্নখ না করে তিনি বলেন, 'কোনো এক ব্যক্তি, যিনি মার্কিন সংবিধান পরিবর্তনের হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি যদি ফের ক্ষমতায় আসেন- তাহলে পুরোপুরি স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠবেন। এমন একজন মানুষ যদি নির্বাচিত হন তাহলে আমেরিকার গণতন্ত্র সরাসরি হুমকির মুখে পড়বে।' এই দুইজনের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প কী বলেছেন, তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি।

কমলার সঙ্গে তিনটি বিতর্ক করতে রাজি

জবাবের অপেক্ষায় ট্রাম্প

এদিকে, আমেরিকার আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসেই তিনটি নির্বাচনী বিতর্ক করতে রাজি। এ ব্যাপারে এখন হ্যারিসের প্রচার শিবির থেকে জবাব পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি। ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডা রাজ্যে তার মার-এ-লোগোর বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।

তিনি বলেন, 'আমরা ফক্স নিউজের সঙ্গে ৪ সেপ্টেম্বরে বিতর্ক অনুষ্ঠানে রাজি হয়েছি, এবিসির সঙ্গে ১০ সেপ্টেম্বরে বিতর্ক অনুষ্ঠান করতে রাজি হয়েছিলাম। আর এনবিসি নিউজের সঙ্গে ২৫ সেপ্টেম্বরে বিতর্ক অনুষ্ঠানে রাজি হয়েছি। আশা করি তিনি (কমলা) রাজি হবেন।' তবে বিতর্কের স্থান কোথায় হবে এবং সেখানে দর্শকশ্রোতা থাকবে কিনা সে ব্যাপারে ট্রাম্প কিছু বলেননি।

ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খারাপ করার পর তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।