ইসরাইলের আগ্রাসনে ক্ষতবিক্ষত গাজা উপত্যকার সন্তান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নেতা নির্বাচিত করেছে হামাসের সুরা কাউন্সিল।
আল-জাজিরা লিখেছে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে 'ইসরাইলের গুপ্তহত্যা'য় নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হলেন সিনওয়ার।
এমন এক সময়ে সিনওয়ারের কাঁধে হামাসের দায়িত্ব এলো, যখন ইসরাইলের হামলায় জ্বলেপুড়ে ছারখার ফিলিস্তিন ভূখন্ড, বিশেষ করে গাজা উপত্যকা। প্রতিদিন দলে দলে ফিলিস্তিনিরা জীবন দিচ্ছে, স্কুল-মাদ্রাসা, ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে না ইসরাইল।
৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের অতর্কিত হামলায় হতাহতের ঘটনার পর ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে গাজায় হামলা শুরুর পর ১০ মাসের বিভীষিকায় প্রাণ গেছে ৩৯ হাজারের বেশি মানুষের।
আল-জাজিরা লিখেছে, সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়ে হানিয়ার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস।
'কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হামাসের রাজনৈতিক বু্যরোর প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হলো, যিনি শহীদ নেতা ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হলেন,' বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
৬১ বছর বয়সি সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মনে করে ইসরাইল। সিনওয়ার গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে ময়দানে নেতৃত্বে রয়েছেন। তাকে হত্যার প্রতিশ্রম্নতি রয়েছে তেলআবিবের।
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় এগারোশ' ইসরাইলি নিহত হন, প্রায় দুইশ'জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় সংগঠনটি।
৩১ জুলাই ইরানে নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় নিহত হন হানিয়া। তবে হামলার দায় স্বীকার-অস্বীকার কোনোটাই করেনি ইসরাইল। তখন বাস্তবতা পর্যালোচনায় সব পক্ষই মোটামুটি একমত ইসরাইলের হামলাতেই হানিয়া নিহত হন।
এর প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলে হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও হিজবুলস্নাহ। ইরান যদি সত্যিই হামলা চালিয়ে বসে তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে বড় যুদ্ধের শঙ্কা রয়েছে।