ইসরাইলের ওপর ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার উদ্বেগ বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাতীয় নিরাপত্তা টিমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ইসরাইলে কোনো ধরনের আক্রমণ করা হলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়েছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নংকেন বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা নিরসনে সময়ের সঙ্গে পালস্না দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। গত বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর থেকেই ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। তার হত্যাকান্ডের জন্য ইসরাইলকেই দায়ী করেছে ইরান একই সঙ্গে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ারও অঙ্গীকার করেছে দেশটি। তবে ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এই হত্যার দায় স্বীকার করেনি।
এদিকে, আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে লেবানন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। লেবাননভিত্তিক হিজবুলস্নাহ সংগঠন এবং দেশটিতে অবস্থানরত বিভিন্ন মিলিশিয়া সংগঠন হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই বিভিন্ন দেশ লেবাননে ভ্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছে।
সোমবারের বৈঠকে বাইডেন জানান, ইরান কবে, কখন ইসরাইলে হামলা চালাবে, সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তবে একদিন আগেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নংকেন জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জানিয়েছেন যে, ইরান এবং হিজবুলস্নাহ ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইল আক্রমণ করতে পারে।
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, 'আমরা ইরান ও ইরানপন্থিদের হামলার হুমকি সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি। আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং ইসরাইলকে আবার আক্রমণ করা হলে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, মার্কিন বাহিনীর ওপর যে কোনো হামলার জবাব দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সোমবার ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে সন্দেহভাজন রকেট হামলায় কয়েকজন মার্কিন কর্মী আহত হন।