মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধলেও ইসরাইলে হামলা চালাবে ইরান
প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুলস্নাহ কমান্ডার ফুয়াদ শোকরের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে দখলদার ইসরাইলে হামলা চালানো হবেই বলে জানিয়েছে ইরান। এতে যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বেধেও যায়, সে বিষয়টি নিয়ে ভাববে না তারা। তথ্যসূত্র : ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল
আমেরিকার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম 'ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল' জানিয়েছে, আরব বিশ্ব ও মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, তারা যেন ইসরাইলে হামলা না চালায়। কিন্তু জবাবে ইরান ও হিজবুলস্নাহ জানিয়েছে, তারা হামলা চালাবেই। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধার যে শঙ্কা তৈরি হবে, সেটি তারা বিবেচনায় নেবে না।
গত বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত মঙ্গলবার তেহরানে গিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতা হানিয়া। যে অতিথি ভবনে তিনি অবস্থান করছিলেন, সেখানে হামলা চালানো হলে গত বুধবার হানিয়া এবং তার একজন দেহরক্ষী নিহত হন। অপরদিকে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারান হিজবুলস্নাহ কমান্ডার শোকর।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, উত্তেজনা নিরসনে জর্ডান ও লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানে গিয়েছিলেন। কিন্তু আরব দূতদের ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরাইলে হামলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। এতে যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধও বাধে, তাতে তাদের কিছু করার নেই।
অপর সংবাদমাধ্যম 'এনবিসি' জানিয়েছে, ইসরাইল আশঙ্কা করছে তাদের ওপর কয়েকদিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে ইরান। ইরানের সম্ভাব্য হামলার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে এখন প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে দখলদার ইসরাইল। হামাস প্রধান ও হিজবুলস্নাহ কমান্ডার নিহত হওয়ার পর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির যে আলোচনা চলছিল, সেটি আবার থমকে গেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সহায়তা করছে হিজবুলস্নাহ ও ইরান।