ইরানের রাজধানী তেহরানে আবাসস্থলে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে গত সপ্তাহে নিহত হন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। পরে ইরানে ও কাতারে আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাতারের লুসাইল রয়্যাল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এরপরই নিজেদের নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে হামাস। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি এই তথ্য সামনে এনেছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা
ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর নিজেদের আন্দোলনের নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য বিস্তৃত পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
হানিয়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক শাখার প্রধান ছিলেন। তার ডেপুটি সালেহ আল-আরৌরি গত জানুয়ারিতে বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় নিহত হন। তিনি বেঁচে থাকলে হানিয়ার হত্যাকান্ডের পর তিনিই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হামাস প্রধান পদে প্রতিস্থাপন হতেন।
গোষ্ঠীটির প্রধান পরামর্শক সংস্থা শুরা কাউন্সিলের বৈঠকের পর হামাসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার মধ্য থেকে কেউ হানিয়াকে প্রতিস্থাপন করতে পারেন।
গত বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকান হন ইসমাইল হানিয়া। এর আগের দিন তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুজ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে যান। অনুষ্ঠান শেষে তেহরানের একটি গেস্ট হাউসে ওঠেন হানিয়া। সেখানেই আগে বোমা বিস্ফোরণে এক দেহরক্ষীসহ নিহত হন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার প্রথম জানাজা হয়। এতে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুলস্নাহ আলি খামেনি। জানাজা শেষে তার মরদেহ বহনকারী কফিন তেহরানের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। পরদিন শুক্রবার কাতারের সবচেয়ে বড় মসজিদ ইমাম মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাবে হামাস প্রধানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। হানিয়ার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন হামাসের উচ্চপদস্থ নেতারা। যার মধ্যে ছিলেন খালেদ মেশালও। তিনি হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে আবারও নতুন করে সংঘাত সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরান এরই মধ্যে হুমকি দিয়েছে তারা হানিয়া হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নিতে সরাসরি ইসরাইলে আঘাত হানবে। এমন আশঙ্কা থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ইসরাইল। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক বিমান সংস্থা ইসরাইলের তেল আবিবে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।