তুরস্ককে ন্যাটো থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো বর্বরতা বন্ধ না করলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এরদোগানের এ হুমকির পর ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ তুরস্ককে ন্যাটো থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। গত ২৯ জুলাই মার্কিন নের্তৃত্বাধীন ন্যাটো জোট থেকে তুরস্ককে বাদ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইল। খবর আরব নিউজের। ওইদিন ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোতে জরুরি বার্তা পাঠান। এতে তিনি উলেস্নখ করেন, এরদোগান ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এ জন্য সবার উচিত এর তীব্র নিন্দা করা এবং তুরস্ককে এই সামরিক জোট থেকে বহিষ্কার করা। জরুরি বার্তায় ইসরায়েল কাৎজ আরো বলেন, এরদোগানের সাম্প্রতিক আচরণ ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেনের মতোই হয়ে উঠেছে। গত ২৮ জুলাই তুরস্কের রিজ প্রদেশে দলীয় এক সমাবেশে ভাষণ দেন এরদোয়ান। এতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরাইলে হামলার হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতা বন্ধ না করলে নাগারনো-কারাবাখ ছিটমহল নিয়ে যুদ্ধ এবং লিবিয়ায় যেভাবে ঢুকে ছিল তুরস্ক, সেভাবেই ইসরাইলে ঢুকে পরবে তুরস্ক। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরাইলের সবচেয়ে কঠোর সমালোচকদের একজন এরদোয়ান। তার দল একে পার্টির ওই অনুষ্ঠানে বলেন, আমাদের অবশ্যই শক্তিশালী হতে হবে, যাতে ইসরাইল আর ফিলিস্তিনে বর্বরতা চালাতে না পারে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, 'আমরা যেভাবে কারাবাখে প্রবেশ করেছি, ঠিক যেভাবে আমরা লিবিয়ায় প্রবেশ করেছি; আমরা তাদের (ইসরাইলে) সঙ্গেও তাই করতে পারি। এমন কিছু নেই যা আমরা করতে পারি না। আমাদের কেবল শক্তিশালী হতে হবে।' এরদোয়ান আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে নাগারনো-কারাবাখ যুদ্ধে নিজেদের সম্পৃক্ত হওয়ার কথা উলেস্নখ করেছেন, যার ফলে সম্প্রতি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আজারবাইজান। এছাড়া লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তুরস্কের।