রাশিয়া-চীনের চার যুদ্ধবিমানকে আমেরিকা-কানাডার ধাওয়া
প্রকাশ | ২৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
রাশিয়া ও চীনের চার যুদ্ধবিমানকে তাড়া করে আলাস্কার আন্তর্জাতিক আকাশপথ থেকে সরিয়ে দিয়েছে আমেরিকা, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল কানাডাও। যৌথ টহলের অংশ হিসেবে চারটি যুদ্ধবিমান আমেরিকার আলাস্কা উপকূলে পাঠায় মস্কো ও বেইজিং। গত বুধবার বিমানগুলোর গতিপথ রুখে দেয় আমেরিকা ও কানাডার সামরিক বাহিনী। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
তবে রাশিয়া ও চীনের এই যৌথ টহলকে 'আকস্মিক' ঘটনা হিসেবে দেখছেন না অস্টিন, তার ধারণা- বেশ সময় নিয়ে এই অভিযানে নেমেছিল তারা।
উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমানের এমন যৌথ টহলের ঘটনা এটিই প্রথম। দেশ দুটির মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির নজিরও এটি। এ নিয়ে আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের পারমাণবিক অস্ত্রবাহী 'টুপোলেভ টিইউ-৯৫' শ্রেণির দুটি রুশ যুদ্ধবিমান এবং চীনের এইচ-৬ শ্রেণির দুটি যুদ্ধবিমান যৌথ টহলে অংশ নেয়।
নর্থ আমেরিকান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড বলেছে, উপকূলে টহল দিলেও আমেরিকা ও কানাডার সার্বভৌম ভূখন্ডে প্রবেশে করতে পারেনি রুশ-চীনা যুদ্ধবিমান। লয়েড অস্টিন বলেছেন, পাঁচ ঘণ্টা ধরে রাশিয়া-চীনের এই যৌথ টহল চলে। বিষয়টি শনাক্ত করতে পেরে আমেরিকা ও কানাডা তাদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বিদেশি মিত্রের যুদ্ধবিমান সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় টহলের ঘটনা মূলত সামরিক শক্তি সম্প্রসারণের জানান দেওয়ারই শামিল। অস্টিন বলছেন, মার্কিন উপকূলে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের এমন যৌথ টহলের ঘটনা এটিই প্রথম।
রাশিয়া বলছে, চুকচি সাগর, বেরিং সাগর ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে যৌথ টহলের অংশ হিসেবে চীনের দুটি যুদ্ধবিমানের সঙ্গে তাদের দুটি পাঠানো হয়েছিল। তবে আমেরিকা ও কানাডার ধাওয়া খাওয়ার বিষয়ে মস্কো কোনো মন্তব্য করেনি।
রাশিয়া ও চীনের মধ্যে কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি নেই। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তারা সামরিক মিত্রতা বাড়িয়ে চলেছে। যৌথভাবে তারা সামরিক শক্তি সম্প্রসারণে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে। ২০১৯ সালে প্রথমবার রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের টহল অভিযান পরিচালনা করে। তবে সেটি আমেরিকার আকাশসীমার আশপাশে ছিল না।