রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

আত্মহত্যার যন্ত্র সুইজারল্যান্ডে

যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
আত্মহত্যার যন্ত্র সুইজারল্যান্ডে

সুইজারল্যান্ডে আত্মহত্যার অধিকার রয়েছে নাগরিকদের। পরিসংখ্যান বলছে, সুইজারল্যান্ডে আত্মহত্যার ঘটনা প্রায়শই ঘটে। সেখানে আত্মহত্যায় সহায়তা করাও আইনত বৈধ। শুধু ২০২০ সালেই ১৩০০ ব্যক্তিকে আত্মহত্যায় সহায়তা করা হয়েছিল। এবার আরও একধাপ এগিয়ে এমন এক যন্ত্রের প্রথম ব্যবহার হতে চলেছে সুইজারল্যান্ডে যা এক মিনিটেরও কম সময়ে ব্যথা-বেদনাহীন শান্তির মৃতু্য বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দেবে মানুষকে! এক আশ্চর্য যন্ত্র বছর পাঁচেক আগেই আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। সেই যন্ত্রের আইনি ছাড়পত্র জোটে আরও বছর দুয়েক বাদে। সেই যন্ত্রটির প্রয়োগকে এবার অনুমোদন দিয়েছে সুইস সরকার। ছোট্ট ক্যাপসুলের মতো দেখতে যন্ত্রটির নাম 'সারকো পড ক্যাপসুল'। যন্ত্রটিতে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। কফিনে ঢুকে আত্মহত্যায় ইচ্ছুক ব্যক্তি একটি বোতাম টিপলেই নাইট্রোজেনে ভরে যাবে ক্যাপসুলটির অন্দর।

এতে প্রথমে অক্সিজেন কমে আসায় অস্বস্তি বোধ করলেও ধীরে ধীরে জ্ঞান হারাবেন ওই ব্যক্তি।

তবে কোনো আতঙ্ক বা দমবন্ধকর পরিস্থিতি গ্রাস করবে না তাকে। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাইপোক্সিয়া এবং হাইপোক্যাপনিয়ায় মারা যাবেন ওই ব্যক্তি। মূল মেশিন থেকে বিচ্ছিন্ন করলে একে দেখতে হবে খানিকটা কফিনের মতো। সেই কফিনে একবার শুয়ে পড়লেই নিমেষেই মৃতু্যর কোলে ঢলে পড়বেন ব্যবহারকারী। এই যন্ত্র ব্যবহার করে আত্মহননে খরচ হবে মাত্র ১৮ সুইস ফ্রাঁ। এই যন্ত্রের প্রথম ব্যবহারকারী কে হতে চলেছেন, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সংস্থা। ঘটনাটি না ঘটা পর্যন্ত এ বিষয়ে বিশদে মুখ খুলতেও নারাজ তারা। প্রাথমিকভাবে সারকো পড ব্যবহারের জন্য নূ্যনতম বয়সসীমা ৫০ নির্ধারণ করা হয়েছে। সব ঠিকঠাক চললে চলতি বছর শেষের আগেই এই যন্ত্রটি প্রথমবার ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা এগজিট ইন্টারন্যাশনাল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে