ইসরাইলি বিমান ও স্থল হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ১৬ হাজারের বেশি। এদিকে, গাজা উপত্যকার নিরাপদ ঘোষিত এলাকা খান ইউনিস থেকে সাধারণ লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। সোমবার তারা এই নির্দেশ দেয়। বলা হয়েছে, খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে তারা বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তথ্যসূত্র : এএফপি
এক বিবৃতিতে ইসরাইলি বাহিনী বলেছে, তাদের ঘোষিত নিরাপদ অঞ্চলের পূর্ব দিকে উলেস্নখযোগ্যসংখ্যক রকেট হামলা হচ্ছে। ফলে ওই এলাকায় বাসিন্দাদের অবস্থান করাটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'শিগগিরই তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে যাচ্ছে। তাই খান ইউনিসের পূর্ব দিকে অবস্থানকারী লোকজনকে আল-মাওয়াসির মানবিক অঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।' এর আগে দফায় দফায় বাস্তুচু্যত হয়েছে গাজাবাসী। এখন ইসরাইলি বাহিনীর নতুন নির্দেশের পর আরেক দফা বাস্তুচু্যত হচ্ছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচু্যত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সবাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
সম্প্রতি গাজার বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। অথচ এর আগে এসব এলাকা হামাসমুক্ত ঘোষণা করেছিল ইসরাইলি বাহিনী। কিন্তু সেসব এলাকা থেকেই সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি বাহিনীর ওপর হামলা বেড়েছে।
প্রাণ হারিয়েছে ১৬ হাজারের
বেশি শিশু
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজায় ৯ মাসের বেশি সময় ইসরাইলি আগ্রাসনে ১৬ হাজারের বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সেভ দ্য চিলড্রেন' গত শনিবার এ তথ্য দিয়েছে। শিশুদের ওপর এমন বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ অন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা আগ্রাসনে বর্বরতার শিকার হয়েছে শিশুরা। হামলার পাশাপাশি অনেকের মৃতু্য হয়েছে খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবেও। এমন কি মাতৃগর্ভেও প্রাণ গেছে কয়েক হাজার শিশুর।