আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বড় অঙ্কের অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। ট্রাম্পকে সমর্থনকারী নতুন একটি 'সুপার পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি'কে (পিএসি) এক মাসে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
মাস্ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়কে সমর্থন জানাতে জুলাই মাস থেকে পিএসি-তে তার অনুদান শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন।
তবে পিএসি সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে যে আর্থিক নথি জমা দিয়েছে, সেখানে মাস্কের নাম দেখা যায়নি। অর্থাৎ, মাস্ক এখন পর্যন্ত পিএসিতে কোনো অর্থ দেননি। নতুন এই সংস্থাটির আর্থিক রিপোর্টে দেখা গেছে, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সংস্থাটি এখন পর্যন্ত ৮ মিলিয়নের বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছে। দাতাদের তালিকায় লন্সডেল এন্টারপ্রাইজ এবং উইঙ্কলেভস টুইনস রয়েছে। লন্সডেল ১০ লাখ ডলার এবং ক্যামেরন ও টাইলার উইঙ্কলেভস দুইজনেই দুই লাখ ৫০ হাজার ডলার করে অনুদান দিয়েছেন।
২৫০ বিলিয়ন ডলারের আনুমানিক সম্পদসহ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচন ঘিরে ট্রাম্পের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন।
মার্চ মাসে, বিলিয়নিয়ার নেলসন পেল্টজের ফ্লোরিডা বাসভবনে আয়োজিত একটি দাতা প্রাতঃরাশের সময় দুইজনের ব্যক্তিগতভাবে দেখা হয়েছিল।
যদিও আমেরিকায় ব্যক্তিগত প্রচারাভিযানের দান প্রতি ব্যক্তি তিন হাজার ৩০০ ডলারে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। মেগা দাতাদের রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটি বা 'পিএসি' নামে পরিচিত তহবিলে অবদান রাখতে সুযোগ দেয়।
গত শনিবার, পেনসিলভানিয়ায় একটি জনসভায় ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেন মাস্ক। এই হাই প্রোফাইল সমর্থন আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন না পেলেও এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তথ্যসূত্র : এএফপি