যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে গেল হামাস

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হামাস। গোষ্ঠীটির এক নেতা জানিয়েছেন, ইসরাইলিদের 'গণহত্যা' এবং আলোচনার ক্ষেত্রে তাদের বিরূপ আচরণের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। আল মাওয়াসিতে হামলার পরই যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাধীনতাকামী এ সশস্ত্র গোষ্ঠী। তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, পার্স টুডে, রয়টার্স হামাসের এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেছেন, তাদের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের বলেছেন, 'দখলদাররা আলোচনায় সিরিয়াস নয়। তারা বাধা এবং গড়িমসির নীতি অবলম্বন করছে এবং আমাদের নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষদের গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। এ কারণে আমরা আলোচনা স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' শনিবার গাজার ?'নিরাপদ অঞ্চল' হিসেবে ঘোষণা দেওয়া আল-মাওয়াসি এলাকায় প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলের এই হামলায় সেখানে ৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। এই হামলাকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে হামাস। তারা বলেছে, সাধারণ মানুষের ওপর সবার সামনে বর্বর হামলা চালিয়েছে তারা। ইসরাইলি এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফকে লক্ষ্য করে আল-মাওয়াসির এক 'উন্মুক্ত এলাকায়' হামলা করা হয়েছে। ওই এলাকায় কেবল হামাসের সদস্যরা ছিলেন। সেখানে কোনো বেসামরিক লোকজন ছিলেন না। খান ইউনিসে হামাসের কমান্ডার রাফা সালামাকেও এই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই কর্মকর্তা। হামাসের পক্ষ থেকে পরে জানানো হয়েছে, মোহাম্মদ দেইফ ভালো আছেন এবং তিনি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করার ইসরাইলি দাবিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছে হামাস। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী বলেছে, ফিলিস্তিনি নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করার ইসরাইলি দাবি এটাই প্রথম নয়। অতীতেও তাদের এমন দাবি অসংখ্যবার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে টানা তিন দিন ধরে গভীর আলোচনার পরও গ্রহণযোগ্য কোনো ফল না আসায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থগিত করেছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। মিসরের নিরাপত্তা সূত্রগুলো যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থগিত হওয়া এবং কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারার জন্য ইসরাইলকে দোষারোপ করেছে। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে ইসরাইলের মধ্যে প্রকৃত ইচ্ছার অভাব রয়েছে।