যুদ্ধ শুরুর সময়ের চেয়ে ভালো অবস্থানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে ১০ মাস ধরে যুদ্ধ করছে হামাসসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। যুদ্ধের শুরুতে ইসরাইল জানিয়েছিল হামাসকে তারা গাজা থেকে নির্মূল করবে। তবে এখনো এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি তারা। এর মধ্যে আমেরিকার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম 'ওয়াশিংটন পোস্ট' দাবি করেছে, হামাস অস্ত্র ও লোকবলের দিক দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা এখন যুদ্ধবিরতি চাইছে। তবে হামাসের লেবানন রাজনৈতিক অফিসের প্রধান নেতা আহমাদ আবদুল-হাদি বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যুদ্ধের শুরুর সময়ের চেয়ে এখন ভালো অবস্থানে আছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। তথ্যসূত্র : এপি, আল-জাজিরা তিনি বলেছেন, 'প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জন্য সামরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং তাদের অবস্থান যুদ্ধের শুরুর সময়ের চেয়ে ভালো আছে।' ইসরাইলের হামলার তীব্রতা বাড়ায় গাজায় অবস্থানরত হামাসের নেতারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে চাপ দিচ্ছে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন লেবাননভিত্তিক এই নেতা। এছাড়া যুদ্ধ শেষে হামাস আবারও একাই গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে, এমনটা প্রত্যাশা করছেন না বলেও জানিয়েছেন আহমাদ আবদুল-হাদি। গাজার ভবিষ্যৎ সরকার 'একটি ফিলিস্তিনি বিষয় হবে এবং এটি নির্ধারণ করবে ফিলিস্তিনিরাই' বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এ বিষয়টি চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নেই বলে দাবি তার। তিনি বলেছেন, 'পরবর্তী ধাপে আমরা একা গাজাকে শাসন করতে চাই না। আমরা অংশীদারিত্ব এবং জাতীয় ঐকমত্যের সরকার চাই।' জুলাইয়ের শেষ দিকে চীনে নিজেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহর প্রতিনিধির সঙ্গে হামাসের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। গত মাসে বৈঠকটির সময় নির্ধারণ করা হলেও এটি স্থগিত করা হয়। হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা আর্জেন্টিনার এদিকে, হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। এই গোষ্ঠীর সব আর্থিক সম্পদ জব্দ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির অতি-ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলির জন্য এটি একটি বড় প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ তিনি সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকা ও ইসরাইলের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাইছেন। গত ফেব্রম্নয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে মাইলি ইসরাইলি সরকারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য জেরুজালেমে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ইসরাইলি দূতাবাস প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন, যা নিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তবে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে ফিলিস্তিনিরা।