নেপালে ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন চীনপন্থি কেপি শর্মা অলি
প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
নেপালে শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচন্ড আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর নতুন জোট সরকার গঠন হতে যাচ্ছে। নতুন এই সরকারের নেতৃত্ব দেবেন চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সরকার গঠন করেছিলেন পুষ্পকমল দাহাল। তখন তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। এরপর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তাকে তিনবার জোট বদলাতে হয়। আর পাঁচবার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু শুক্রবার পঞ্চমবারের অনাস্থা ভোটে হেরে যান তিনি। তথ্যসূত্র : এএফপি
ইউএমএল পার্টির আইনপ্রণেতা যোগেশ ভট্টরাই বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে নতুন জোট সরকারের প্রয়োজন ছিল। এর মধ্য দিয়ে নেপালে ২০ মাস ধরে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার নিরসন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০০৮ সালে নেপালে ২৩৯ বছরের পুরনো রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। এরপর থেকে গণতান্ত্রিক নেপালে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা। কেপি শর্মা অলি নতুন সরকার গঠন করলে সেটা হবে ২০০৮ সালের পর দেশটিতে ১৪তম গণতান্ত্রিক সরকার।
নেপালের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি সব সময় বড় দুই প্রতিবেশী ভারত ও চীনের কড়া নজরদারিতে থাকে। হিমালয়ঘেঁষা নেপালে এই দুই দেশের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। দিলিস্ন-বেইজিং নেপাল ও নেপালের রাজনীতিতে প্রভাব রাখতে চায়।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহালের সরকারের ওপর থেকে গত সপ্তাহে সমর্থন তুলে নেয় অন্যতম বৃহত্তম জোটসঙ্গী লিবারেল কমিউনিস্ট ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট (ইউএমএল) পার্টি। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন কেপি শর্মা অলি।
এরপর পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ৬৯ বছর বয়সি প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহালের সামনে দুটি বিকল্প খোলা ছিল। হয় তাকে সরকার প্রধানের পদ ছাড়তে হবে, নতুবা পার্লামেন্টে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। পুষ্পকমল দাহাল দ্বিতীয় বিকল্প বেছে নিয়ে ব্যর্থ হন।
কেপি শর্মা অলি এর আগে দু'বার নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত জুনের শেষদিকে তিনি মধ্যপন্থি দল নেপালি কংগ্রেসের (এনসি) সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। এর ফলে পার্লামেন্টে এই জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পথ সুগম হয়। তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল কেপি শর্মা অলি নতুন সরকার গড়বেন।