ভারী বৃষ্টির জেরে নেপালে বন্যা-ভূমিধস, নিহত ১১

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের সিকিম, দার্জিলিং পাহাড়ে টানা বৃষ্টিতে আবারও ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। পানির স্তর বেড়ে জলপাইগুড়ির একাংশ ছাড়াও ভাসছে কালিম্পঙের তিস্তাপার। শনিবার তিস্তা বাজারের বাসিন্দাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা 'পানিবন্দি' হয়ে থাকতে হয়েছে। দুপুরের পর পানি কিছুটা নেমেছিল। শনিবার রাত থেকে পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় আবারও 'জলস্ফীতি' দেখা দেয়। অতিবৃষ্টিতে রোববার দার্জিলিংয়ের রক গার্ডেনে এমন ধস দেখা যায় -পিটিআই
নেপালে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভূমিধস ও হড়কা বানে অন্তত ১১ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন আরও আটজন। রোববার সকালে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধস ও বন্যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ও অনেকগুলো রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। এছাড়া গত এক মাসের কম সময়ের মধ্যে বন্যা, ভূমিধস ও বজ্রপাতে কমপক্ষে ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিখোঁজ ব্যক্তিরা হয় বন্যার পানিতে ভেসে গেছেন বা ভূমিধসে চাপা পড়েছেন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব নেপালে কোশি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে একজন জেলা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এই নদীর কারণে প্রায় প্রতি বছর পূর্ব ভারতের বিহার রাজ্যে মারাত্মক বন্যা হয়ে থাকে। সুনসারি জেলার সিনিয়র কর্মকর্তা বেদ রাজ ফুয়াল বলেছেন, 'কোশিতে পানির প্রবাহ বাড়ছে এবং আমরা বাসিন্দাদের সম্ভাব্য বন্যা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলেছি।' তিনি আরও বলেন, রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় কোশি নদীতে পানির প্রবাহ ছিল প্রতি সেকেন্ডে তিন লাখ ৬৯ হাজার কিউসেক যা নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ তথা সেকেন্ডে দেড় লাখ কিউসেকের দ্বিগুণেরও বেশি। কিউসেক হলো পানির প্রবাহের পরিমাপ এবং এক কিউসেক প্রতি সেকেন্ডে এক ঘনফুটের সমান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পশ্চিমে নারায়ণী, রাপ্তি ও মহাকালী নদীর পানির প্রবাহও বাড়ছে। পাহাড় ঘেরা কাঠমান্ডুতে বেশ কয়েকটি নদীর পানি তীর উপচে পড়েছে, রাস্তা পস্নাবিত হয়েছে এবং অনেক বাড়িঘরও পস্নাবিত হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি ও ফুটেজে লোকেদের কোমর-সমান পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে বা বাসিন্দাদের তাদের ঘর থেকে পানি বাইরে বের করার জন্য বালতি ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পার্বত্য নেপালের বেশিরভাগ অংশে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায় প্রতি বছর শত শত লোক মারা যান। এই মৌসুম সাধারণত জুনের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে থাকে। এছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে গত কয়েক দিনে বন্যায় কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছেন এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচু্যত হয়েছেন।