হিজবুলস্নাহর রকেটে ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা নিহত
প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
লেবাননের ইরান সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুলস্নাহর রকেট হামলায় ইসরাইলের এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একটি ইউনিটের ডেপুটি কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। তিনি গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনেও অংশ নিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাকে লেবানন সীমান্তে পাঠানো হয়। সেখানেই হিজবুলস্নাহর রকেট হামলায় প্রাণ হারান তিনি। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি, সিনহুয়া
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হিজবুলস্নাহর রকেট হামলায় তাদের একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। হিজবুলস্নাহর হামলায় নিহত ওই কর্মকর্তার নাম ইতাই গালিয়া। ৩৮ বছর বয়সি এই কর্মকর্তা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ৬৭৯তম আর্মড ব্রিগেডের ৮৬৭৯তম ইউনিটের ডেপুটি কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। ইসরাইলের বিরুদ্ধে হিজবুলস্নাহর ব্যাপক হামলার সময় ইসরাইল-অধিভুক্ত গোলান মালভূমিতে একটি রকেট আঘাত হানলে তিনি নিহত হন।
দক্ষিণ-পশ্চিম লেবাননের টায়ার শহরে সিনিয়র সামরিক নেতা মোহাম্মদ নামেহ নাসেরের সাম্প্রতিক হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ হিসেবে বৃহস্পতিবার হিজবুলস্নাহ উত্তর ইসরাইলে প্রায় ২০০টি রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।
হিজবুলস্নাহর সঙ্গে সম্ভাব্য পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের জন্য ইসরাইলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতাই গালিয়াকে উত্তর ইসরাইলে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি গাজা উপত্যকায় আগ্রাসনে অংশ নিয়েছিলেন।
টানা প্রায় ৯ মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। আর এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুলস্নাহ ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। মূলত গাজায় যুদ্ধের জেরে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় করছে হিজবুলস্নাহ। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা মিত্র হামাসকে সমর্থন করতে এবং লেবাননে আক্রমণ চালানো থেকে ইসরাইলকে নিবৃত্ত করতে রকেট নিক্ষেপ করছে।
লেবাননে গত আট মাসে আন্তঃসীমান্ত সহিংসতায় ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইসরাইল বলছে, লেবানন থেকে চালানো হামলায় সীমান্তে ১৮ সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। পাল্টাপাল্টি এ হামলায় উভয় পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচু্যত হয়েছেন।
গত কয়েক মাস ধরে হিজবুলস্নাহর এসব হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে। হিজবুলস্নাহ যেন সীমান্ত এলাকায় আর হামলা না চালাতে পারে, সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের হুমকি দিয়ে আসছে ইসরাইল। এ নিয়ে বর্তমানে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। মূলত হিজবুলস্নাহ ও ইসরাইলের মধ্যে ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর এটিই ইসরাইল-লেবানিজ সীমান্তে সবচেয়ে খারাপ সহিংসতার ঘটনা।