মিয়ানমারজুড়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ও মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করেছে পিডিএফ, কাচিনসহ একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই অস্ত্রগুলো রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের শ্বাসযন্ত্রে আঘাত করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে নেপালম, থার্মাইট বা সাদা ফসফরাস, যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায়।
'কারেননি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স'র (কেএনডিএফ) ডেপুটি কমান্ডার ফো থাইকে মাউই। তিনি মাউ নামে পরিচিত। তিনি বলেছেন, এই রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বোমাগুলো মাঝে মাঝেই লক্ষ্যবস্তু বা ভবনে পড়ে না। যখন পোড়ানোর মতো কিছু পায় না, তখন এরা নিজেরাই পুড়ে ধোঁয়া তৈরি করে। আর এই ধোঁয়া অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে, যা মানবশরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
'ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স' (এফবিআর) একটি অলাভজনক সংস্থা, যা মিয়ানমারের ফ্রন্ট লাইনজুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা সহায়তা দেয়। এফবিআর জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী যে অগ্নিসংযোগকারী অস্ত্র এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সামরিক বাহিনী ছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিল (এসএসি) বিষাক্ত টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে এফবিআর। সাধারণত ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য এই টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে তারা। এটি মানুষের শরীরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। চলাচলের বা কর্মদক্ষতা হারায়।
এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, তা মূল্যায়ন করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে কিনা, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে সংস্থাগুলো। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা