ফ্রান্সে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে জয় পেয়েছেন কট্টর ডানপন্থিরা। অন্যদিকে, ভোটে হতাশাজনক ফল পেয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর জোট। রোববার ফ্রান্সে এই ভোটগ্রহণ হয়। ম্যাখোঁর মধ্যপন্থি জোট নির্বাচনী ফলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। অবশ্য মেরি ল পেনের নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র?্যালি বা আরএন এবার প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে বলে আগেই বিভিন্ন জনমত জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্বাচনের দুই পর্ব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত আরএন জয় পাবে কি না, তা আগামী সপ্তাহের রান-অফ ভোটের আগের দিনগুলোতে হতে যাওয়া রাজনৈতিক সমঝোতার ওপর নির্ভর করছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, এনডিটিভি
তবে মেরি ল পেন-এর উগ্র ডানপন্থি (আরএন) আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের পর ফরাসি জাতীয় অ্যাসেম্বলিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন।
গত জুন মাসের ৬-৯ তারিখের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে আরএন-এর হাতে ম্যাখোঁর মধ্যপন্থি জোটের ভরাডুবি হলে, তিনি বেশ আকস্মিকভাবেই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিজের কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরও হতবাক করে দেন ম্যাখোঁ। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত- যেটা অনেকে বাজি ধরার সঙ্গে তুলনা করেছেন, এখন উল্টো ফল দিতে যাচ্ছে। ম্যাখোঁর জোট এখন পার্লামেন্টে আগের চেয়ে ছোট আকার ধারণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ম্যাখোঁর ক্ষমতা তার মেয়াদের বাকি তিন বছরে অনেকটা খর্ব হয়ে যাবে।
ফ্রান্সের শীর্ষস্থানীয় পোলিং সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, রোববারের নির্বাচনে 'আরএন' পেয়েছে ৩৪.৫ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বামপন্থি 'নিউ পপুলার ফ্রন্ট অ্যালায়েন্স' ২৯.১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর ম্যাখোঁর জোট পেয়েছে ২০.৫ শতাংশ থেকে ২১.৫ শতাংশ ভোট। পোলিং সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে আরএন। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডের পর তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৯ আসন পাবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
সংস্থাগুলোর হিসাবে অবশ্য ভিন্নতা আছে। ইপসস-এর ধারণা অনুযায়ী, আরএন পাবে ২৩০ থেকে ২৮০ আসন; ইফপ-এর হিসাব হচ্ছে- তারা ২০৪ থেকে ২৭০টি আসন পাবে এবং এলাব একমাত্র সংস্থা যারা এরএন-এর আসন সংখ্যা ২৬০ থেকে ৩১০টির মধ্যে থাকবে বলে অনুমান করেছে।