ম যাযাদি ডেস্ক
ঠিকঠাক হাঁটতে না পারলেও ভোটের দৌড়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহজেই হারাতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে 'ধরাশায়ী' হওয়ার পর আত্মবিশ্বাসী বাইডেন শুক্রবার এ কথা বলেছেন। এদিন নর্থ ক্যারোলাইনায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে 'পারফরম্যান্স' খারাপ হওয়ার কথা স্বীকার করে এ কথা বলেন তিনি। নিজের বয়স নিয়ে সচেতন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্র পরিচালনায় তার বয়স কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেও জানান। তথ্যসূত্র : এএফপি, রয়টার্স
৮১ বছর বয়সি বাইডেন বলেন, 'স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, আমি জানি, আমি একজন যুবক নই। আমি আগের মতো সহজে হাঁটতে পারি না। আগের মতো সাবলীলভাবে কথা বলতে পারি না। আগের মতো ভালো বিতর্কও করতে পারিনি।' তবে এদিনের বক্তৃতায় বাইডেন এ কথাও বলেছেন, তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, আরও চার বছর মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। বাইডেন বলেন, 'আমার হৃদয় ও আত্মা দিয়ে আমি যদি বিশ্বাস না করতাম যে, এই কাজটি করতে পারব, তবে নির্বাচনে দৌড়ে আমি আবারও অংশ নিতাম না।' এ সময় সমবেত জনতা সমস্বরে বলে ওঠে, 'হঁ্যা আপনি পারবেন।'
জনতার উদ্দেশে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন বাইডেন। ট্রাম্পকে দেশের জন্য প্রকৃতই হুমকি বলে তিনি উলেস্নখ করেন। বাইডেন বলেন, 'তিনি (ট্রাম্প) এই জাতির জন্য, স্বাধীনতার জন্য হুমকি, আমাদের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। আমেরিকা যা কিছুর জন্য উঠে দাঁড়ায়, তার সবকিছুর জন্য তিনি অক্ষরিক অর্থেই হুমকি।'
তারপরও বাইডেনের আর নির্বাচনী দৌড়ে থাকা উচিত কিনা, তা নিয়ে বিভক্ত খোদ ডেমোক্রেটরা। কিন্তু বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে না দাঁড়িয়ে বরং ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো বিতর্কে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন। 'সিএনএন'-এর জ্যেষ্ঠ হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা কায়লা তাউসে শুক্রবার এক উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, 'বাইডেন আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের মঞ্চে ফিরবেন।'
গত বৃহস্পতিবার প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডেমোক্রেটিক দল থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান দল থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএন-এর আটলান্টা স্টুডিওতে এ বিতর্কে অংশ নেন তারা। আর এতে বাইডেনের দুর্বল, টলমল বিতর্কে খোদ তার ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যরাই হতাশ হয়েছেন। নির্বাচনের আগে দিয়ে বাইডেনের এমন বাজে পারফরম্যান্সে দল ক্ষতির মুখে পড়া নিয়েও তাদের মধ্যে উদ্বেগ, আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বাইডেনকে সরিয়ে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়েও বিভক্তি দেখা দিয়েছে ডেমোক্রেট শিবিরে। অনেকে বাইডেনকে সরিয়ে নির্বাচনে অন্য কাউকে প্রার্থী করার কথা বলছেন। কিছু ডেমোক্রেট বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানাতে শুরু করেছেন।
আবার অনেকে বলছেন, একটা মাত্র পারফরম্যান্স দেখেই তাকে সরানো উচিত হবে না। নির্বাচন কাছে চলে আসায় ট্রাম্পকে মোকাবিলায় দ্রম্নত একজন যোগ্য প্রার্থী পাওয়া সময়ের ব্যাপার- এদিক থেকেও অনেকে বাইডেনকে রাখাই ভালো মনে করছেন।