পাক মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকা। এমনকি এ বিষয়ে মার্কিন প্রতনিধি পরিষদ (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) একটি প্রস্তাবও পাস করেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। আমেরিকার সমালোচনা করার পাশাপাশি দেশটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে 'হস্তক্ষেপ' করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেছে ইসলামাবাদ। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
গত বুধবার প্রতিনিধি পরিষদে চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়া সাধারণ নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে একটি প্রস্তাব পাস করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই আমেরিকাকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে 'হস্তক্ষেপ' করার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।
প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবটিতে পাকিস্তানের নির্বাচনে কথিত অনিয়মের বিষয়ে 'পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন' তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টিও নির্বাচনে তাদের জয়কে নস্যাৎ করার জন্য কারচুপি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ গত বুধবার বলেছেন, পাকিস্তান 'গঠনমূলক আলোচনা' এবং সংশ্লিষ্টতায় বিশ্বাস করে, তবে এই জাতীয় সিদ্ধান্তগুলো 'গঠনমূলক বা উদ্দেশ্যমূলক নয়'। তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, এ বিশেষ রেজোলিউশনের সময় এবং প্রেক্ষাপট আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিবাচক গতিশীলতার সঙ্গে ভালোভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কিত অসম্পূর্ণ বোঝাপড়া থেকে উদ্ভূত হয়েছে।'
এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন এবং ইঙ্গিত দিয়েছেন, চলতি বছরের শেষদিকে আমেরিকার নিজস্ব আসন্ন নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য দেশটিকে আরও কিছু করতে হবে। বুধবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার আমেরিকার নেই।
এর আগে সোস্যাল মিডিয়া পস্ন্যাটফর্ম 'এক্স'-এ দেওয়া এক পোস্টে খাজা আসিফ গাজায় চলমান যুদ্ধের সময় ইসরাইলের প্রতি আমেরিকার সমর্থনের কথা উলেস্নখ করার পাশাপাশি অতীতে বিদেশি সরকারগুলোকে ক্ষমতা থেকে অপসারণে জড়িত থাকার মার্কিন ট্র্যাক রেকর্ড নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি সেখানে লিখেছেন, 'এমন একটি দেশ থেকে এই প্রস্তাব এসেছে যেটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারগুলোকে উৎখাত করে বিংশ শতক কাটিয়েছে এবং বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাতে সহায়তা করছে।'
