উদ্বোধনের ছয় মাসেই ভারতের রামমন্দিরের ছাদে ফাটল

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
অযোধ্যার রামমন্দির
শপথ নিতে না নিতেই একের পর এক ধাক্কা আসছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে। দেশটির অটল সেতুর ফাটলের পর এবার ছাদ ফেটে অঝোরে পানি পড়ছে অযোধ্যার রামমন্দিরে! অথচ এখনো ছয় মাসও হয়নি রামমন্দির উদ্বোধনের। জানা গেছে, এ বছরের প্রথম বৃষ্টিতেই ছাদ ফুটো হতে শুরু করেছে রাম মন্দিরে। যার ফলে মন্দিরের ভেতরে এবং আশপাশের কমপেস্নক্সে পানি জমেছে। এতে মন্দিরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দাঁড়িয়েছে প্রশ্নের মুখে। তথ্যসূত্র : জি-নিউজ রামলালার জমকালো অভিষেক অনুষ্ঠান চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি হয়েছিল। বিনোদন জগৎ থেকে শুরু করে ভারতের হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বরা হাজির ছিলেন সেদিন। তবে এখনো তার নির্মাণ চলছে। মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই জানা গিয়েছিল এর সুবিশাল নির্মাণের কথা। ২.৭ একর জমির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মন্দির। ১৮০০ কোটি রুপির খরচে তৈরি এই মন্দির। এই মন্দির তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনো ইস্পাত বা লোহা। শুধু নির্মাণশৈলীর ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে রামমন্দির। এমনকি নাগরা স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের মিশেলে তৈরি হয়েছে রামমন্দির। এটি তৈরির পেছনে রয়েছেন দেশের বিশাল নামি বিজ্ঞানীরা। সাহায্য নেওয়া হয়েছে ইসরোর। কিন্তু প্রথম বর্ষাতেই এমন অবস্থা রামমন্দিরের। রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেছেন, চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে রামমন্দির নির্মাণ কমিটি এখনো বিভিন্ন চেম্বারে কাজ করছে। যেখানে আরও দেবতাদের স্থাপন করা হবে। এই 'ইনস্টলেশন'গুলো ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। তবে কেন নবনির্মিত মন্দিরটি ফুটো হচ্ছে, তা সমাধানের দিকে অবিলম্বে নজর দেওয়া উচিত। প্রাক-বর্ষা বৃষ্টিতে অযোধ্যার অবকাঠামোরও উলেস্নখযোগ্যভাবে ক্ষতি হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে রাম পথের তিনটি স্থান-সহ পাঁচটি বড় রাস্তা ধসে পড়েছে। রিকাবগঞ্জ রোডের চকের কাছে এবং পুলিশ লাইনের সামনে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়ে অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। উলেস্নখ্য, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বড় আয়োজনের মাধ্যমে অটল সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটিই ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। এজন্য খরচ পড়েছিল প্রায় ১৭ হাজার ৮৪০ কোটি রুপি।