ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা সোমবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার প্রথম অধিবেশনে শপথ নিয়েছেন। লোকসভা অধিবেশনের প্রথম দিনই বিরোধী জোট 'ইনডিয়া'র তোপের মুখে পড়েন মোদি। ক্ষমতাসীন জোটের এমপিরা যখন শপথ নিচ্ছিলেন, তখনই পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী জোট 'ইনডিয়া'র এমপিরা। তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ, এনডিটিভি
সোমবার অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের দিনই সংবিধান বাঁচানোর দাবি তুলে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী জোটের এমপিরা। হাতে সংবিধান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, মলিস্নকার্জুন খড়্গে, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, এনসিপির (এসসিপি) সুপ্রিয়া সুলেরা। শপথগ্রহণ তত্ত্বাবধান করেছেন প্রোটেম স্পিকার ভার্তুহারি মাহতাব। এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রোটেম স্পিকার হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। লোকসভার স্পিকার নির্বাচন করা হবে ২৬ জুন। নতুন স্পিকার নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রোটেম স্পিকার হিসেবে লোকসভার প্রথম কয়েকটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন মাহতাব। লোকসভায় সদস্যদের শপথগ্রহণ চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
এদিকে, শপথ নিয়ে লোকসভায় প্রথম ভাষণেই মোদি বলেন, তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব তিনগুণ বেড়ে গেছে। সবার মত নিয়ে সরকার পরিচালনা করবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অধিবেশন শুরুর আগের ভাষণে ইন্দিরা গান্ধীর আমলের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেন মোদি। বলেন, ৫০ বছর আগে ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সেটা দেশের অন্ধকার অধ্যায়। গণতন্ত্রের ওপর কালো দাগ। আর কখনো সেই আঁধার নেমে আসবে না এই দেশে। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিরোধীরা আমাকে হতাশ করেছেন। তবে আশা করছি, পার্লামেন্টে তারা সুষ্ঠুভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাদের নেতৃত্বাধীন জোট ২৯২টি আসন পেলেও বিজেপি এককভাবে পেয়েছে মাত্র ২৪০টি আসন। এছাড়া কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট 'ইনডিয়া' পেয়েছে ২৩৩টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নতুন সরকারে কিছুটা 'নরমপন্থি' হতে বাধ্য হয়েছে 'পদ্মশিবির'।
