শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
ভারতের রাজনীতি

রাজ্যসভা নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে ইনডিয়া-এনডিএ জোট

পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে আসন বাড়াতে তৎপর দুই পক্ষই
যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০০
ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা

ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার খালি হওয়া আসন থেকে লাভ-ক্ষতির হিসাব কষছে এনডিএ ও ইনডিয়া দুই জোটই। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে কাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, আর কাদের হ্রাস- সেদিকে নজর রয়েছে শাসক এবং বিরোধী দুই পক্ষেরই। ফলে নিজেদের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে উভয়েই। তথ্যসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্প্রতি রাজ্যসভায় ১০টি আসন ফাঁকা হয়েছে। রাজ্যসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে উচ্চকক্ষের ১০ সদস্য লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে ১০টি আসন যে খালি হয়েছে, তা এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানানো হয়েছে। বিহার, মহারাষ্ট্র ও আসাম থেকে দুটি করে এবং রাজস্থান, ত্রিপুরা, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশ থেকে একটি করে আসন খালি হয়েছে। যে ১০টি আসন ফাঁকা হয়েছে, তার মধ্যে সাতটি ছিল বিজেপির দখলে, দুটি কংগ্রেসের এবং একটি আসন আরজেডির দখলে ছিল। শিগগিরই এ আসনগুলোর জন্য নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তা হলে আগামী দিনে কংগ্রেসের দুটি আসনই বিজেপির ঝুলিতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবার আসাম থেকে খালি হওয়া দুটি আসনই বিজেপি যে পাবে, তা নিয়ে সংশয়ও রয়েছে। হরিয়ানা থেকে রাজ্যসভার সদস্য কংগ্রেসের দীপেন্দর সিং হুডা এরই মধ্যে সেখানকার রোহতক থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবং রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার কংগ্রেসের সদস্য কেসি বেণুগোপাল তার নিজের রাজ্য কেরালার আলাপ্পুঝা থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। হরিয়ানা ও রাজস্থান দুই বিধানসভাতেই বর্তমান বিজেপির সরকার থাকার সুবাদে তাদের বিধায়ক সংখ্যাই বেশি রয়েছে। সংখ্যার হিসাবে এই দুই আসনেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তবে, আসাম থেকে বিজেপির যে দুই রাজ্যসভার সদস্য, যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল ও কামাখ্যা প্রসাদ তাসা লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন, সেই দুটি আসনই বিজেপি সহজেই ধরে রাখতে পারবেন এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ।

আসামে ইনডিয়া জোটের পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে প্রার্থী দেওয়া হলে একটি আসন নিয়ে চাপের মুখে পড়তে হবে বিজেপিকেও। মহরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল-সহ আরও একজন রাজ্যসভার সদস্য লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ায়, খালি হওয়া দুটি আসনও বিজেপির জোটের ঘরেই থাকবে। বিহারের দুটি আসনের মধ্যে আবারও একটি করে আসন আগের মতোই আরজেডি ও বিজেপির দখলেই থাকবে।

ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভার সদস্য বিপস্নব দেব লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে সেখানকার খালি আসনটিও আবারও বিজেপির ঝুলিতে যাবে। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া লোকসভায় নির্বাচত হওয়ার কারণে খালি হওয়া আসনটিও আবার বিজেপিই পাবে।

এই ১০টি আসন ছাড়াও মহারাষ্ট্রে রাজ্যসভার একটি শূন্য পদেও নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই খালি আসনটি 'মহা বিকাশ আঘাড়ি'র দখলে যেতে পারে। পাশাপাশি আগামী ১ জুলাই কেরালার তিনটি রাজ্যসভা আসন এবং জুলাই মাসের মাঝামাঝি চারজন মনোনীত সদস্যের মেয়াদও শেষ হতে চলেছে। ফলে নির্বাচন নিয়ে ভারতের রাজনীতি আবারও সরগরম হতে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে