শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
ইউক্রেনকে পুতিনের শর্ত

সেনা প্রত্যাহার করলেই যুদ্ধ বন্ধ

ইউক্রেনকে অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে, ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আর তদবির করবে না কিয়েভ
যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০০
ফিলিস্তিনের গাজায় আট মাস ধরে তান্ডব চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে ৩৭ হাজার মানুষকে হত্যা ছাড়াও গুঁড়িয়ে দিয়েছে অবকাঠামো। ইসরাইলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজায় খাদ্য ও পানি সংকটে পড়েছেন গাজাবাসী। শুক্রবার জাতিসংঘের উদ্যোগে জাবালিয়ায় একটি পানির ট্যাংক নিয়ে গেলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন সেখানকার লোকজন -আল-জাজিরা অনলাইন

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির সংলাপ শুরুর জন্য নতুন দুটি শর্ত দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন। প্রথম শর্ত হলো- ইউক্রেনের যে চার প্রদেশ রাশিয়া নিজের সীমানাভুক্ত করেছে, সেই প্রদেশগুলো থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে হবে কিয়েভকে। দ্বিতীয় শর্ত- ইউক্রেনকে অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে, আমেরিকা ও মিত্রদের জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আর তদবির করবে না কিয়েভ। তথ্যসূত্র : আরটি, রয়টার্স

শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং অন্য রুশ কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন বলেন, 'আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যে মুহূর্তে কিয়েভ (চার প্রদেশ থেকে) সেনা প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আর চেষ্টা করবে না বলে ঘোষণা দেবে, ঠিক তখন থেকে আমরা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনা এবং ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করব।'

২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া হারানোর পরের বছর বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে রাশিয়ার সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিরা। সেই চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখন্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতিদানের বিষয়টি।

তবে সেই শর্ত পূরণের বদলে আমেরিকা ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য তদবির শুরু করে ইউক্রেন। এ নিয়ে কয়েক বছর টানাপড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভস্নাদিমির পুতিন। সেই অভিযান এখনো চলছে। ইউক্রেনের নিজস্ব অস্ত্র ভান্ডার শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সহায়তার ওপর নির্ভর করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

শুক্রবারের বৈঠকে পুতিন বলেন, 'এই যুদ্ধ থেমে যেত অনেক আগেই। পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র সহায়তা দিয়ে এটিকে জিইয়ে রেখেছে। আমরা শুধু চাই ইউক্রেনের সরকার রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান নিক, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আসুক এবং ইউক্রেনের জনগণের ভবিষ্যৎকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক।'

ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কতার পরই কিয়েভে বিস্ফোরণ

ইউক্রেনের কিয়েভ অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, শুক্রবার রাজধানীর বাইরের এলাকায় এই বিস্ফোরণ হয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী অঞ্চলটিতে সম্ভাব্য রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সতর্ক করার পরই এই শব্দ শোনা গেছে।

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেছেন, 'কিয়েভ অঞ্চলে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করছে। আপনারা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকুন। ক্ষেপণাস্ত্রের সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে।'

বিস্ফোরণের শব্দটি ঠিক কিসের, তা জানা যায়নি। এটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি লক্ষ্যবস্তুকে গুলি করার সময়কার শব্দ কিনা, তাও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পাবলিক ব্রডকাস্টার সাসপিলন জানিয়েছে, খমেলনিতস্কির পশ্চিমাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

বিমান হামলার সাইরেন বাজার পর, খমেলনিতস্কি অঞ্চলে দূরপালস্নার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা জানিয়েছিল ইউক্রেনের বিমান বাহিনী। তখন বিমান হামলার সতর্কতা ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে আর কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে