গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও সংকটময় হয়ে উঠছে। যতই দিন যাচ্ছে, সেখানে খাবার-পানির সংকটে দিশেহারা হয়ে উঠছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। এমনকি শিশুদের মুখে তুলে দেওয়ার মতো খাবারের জোগানও দেওয়া যাচ্ছে না। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৫০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে ১৫ হাজার ৬৯৪ জন শিশু নিহত হয়েছে এবং ১৭ হাজার শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম হয়ে গেছে। তথ্যসূত্র : এএফপি, আল-জাজিরা
এদিকে, গাজায় খাদ্য সংকটের বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস। যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই অঞ্চলে পাঁচ বছরের কম বয়সি আট হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে জানানো হয়েছে।
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে কর্মরত এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, সেখানে অধিকাংশ খাদ্যপণ্য ফুরিয়ে যাওয়ায় ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘ সমর্থিত একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধের প্রথম দিকেই ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধাপরাধ করেছে। এতে বলা হয়েছে, শুধু যুদ্ধাপরাধ নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধও করেছে ইসরাইল। কারণ, তাদের হামলায় বেসামরিক অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন।
দুটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে, একটিতে ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের হামলার বিষয়ে কথা। অন্যটিতে গাজায় ইসরাইলি অভিযানের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তদন্ত কমিশন আরও জানায়, ইসরাইল তাদের কাজে বাধা দিয়েছে। ইসরাইল ও গাজায় প্রবেশের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে তেল আবিব প্রশাসন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করে ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর জবাবে অবরুদ্ধ গাজায় অভিযান শুরু করে দলখলদার বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ২০২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৮৪ হাজার ৯৩২ জন।