বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এরই মধ্যে সরকার গঠন করেছে। কিন্তু মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় জোটের শরিকদের মধ্যে থাকলেন না অজিত পাওয়ারের 'এনসিপি'র কেউ। অজিত পাওয়ারের দলকে একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তারা পূর্ণমন্ত্রী দাবি করে। তাদের এই দাবি মানা হয়নি। ফলে তারা মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়নি। তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেন, 'এনসিপির একজনকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাদের পক্ষে প্রফুল প্যাটেল মন্ত্রী হবেন বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তিনি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হতে রাজি হননি।'
এরপরই এনডিএর শরিক দল এনসিপিকে খানিক কটাক্ষ করেই ফড়নবিস বলেন, 'যখন একটা জোট নিয়ে সরকার গঠিত হয়, তখন কিছু নিয়ম মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু একটা দলের জন্য সেই নিয়ম বদলাতে পারে না।' তবে একইসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হলে এনসিপির কথা মাথায় রাখা হবে।
'ধৈর্য' ধরার কথা বলছেন মহারাষ্ট্রের আরেক উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতও। তিনি বলেন, 'প্রফুল প্যাটেল আগে পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। আমাদের মনে হয়েছে, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করা ঠিক হবে না। তাই আমরা তাদের (বিজেপি) বললাম, কিছু দিনের জন্য অপেক্ষা করতে প্রস্তুত। কিন্তু আমরা পূর্ণমন্ত্রিত্ব চাই।' প্রফুল নিজে এই প্রসঙ্গে জানান, আগে তিনি পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। এখন প্রতিমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হলে তার 'পদাবনতি' হবে।
লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র একটি আসনে জয়ী হয়েছে অজিত পাওয়ারের দল। পরিস্থিতি এমনই যে, দলের অনেকেই আবার শারদ পাওয়ারের এনসিপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে এনসিপির (অজিত) লোকসভা এবং রাজ্যসভায় একজন করে সদস্য আছেন। নিজের এবং দলের গ্রহণযোগ্যতা বোঝাতে রোববার অজিত দাবি করেন, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে তাদের তিনজন রাজ্যসভার সদস্য এবং চারজন লোকসভার এমপি থাকবেন!
এদিকে, রোববার দিলিস্নর রাষ্ট্রপতি ভবনে নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শারদ পাওয়ারের ভাতিজা অজিত। তবে দলের কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করতে না পারলে কত দিন তিনি 'ধৈর্য' ধরেন, আপাতত সে দিকেই নজর সবার।