জানালেন পুতিন
ইউক্রেন জয়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই
প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ হামলা বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এবং এই পরিস্থিতিতে অনেকেই পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনে বিজয়ের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। রুশ সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখন্ডতা হুমকির মুখে পড়লে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক এই সংঘাত যে পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত হবে না, সে বিষয়ে এটিই এখন পর্যন্ত ক্রেমলিনের সবচেয়ে জোরাল ইঙ্গিত।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাসের মাথায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার ভূখন্ড রক্ষার জন্য তথা আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনে তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। এ ছাড়া কয়েকবারই পুতিন পুরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে হুমকি দিয়েছিলেন।
'সেইন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরাম'র পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে মডারেটর সের্গেই কারাগানভ নামে এক প্রভাবশালী রুশ বিশ্লেষকের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, তিনি এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের পরিস্থিতি এখনো দেখেন না।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, 'পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কেবল ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই সম্ভব- দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখন্ডতার জন্য হুমকির ক্ষেত্রে। আমি মনে করি না, এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি এখনো হয়েছে। এমন অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।'
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় রাশিয়া। এ ছাড়া ২০২২ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলকে রাশিয়ার মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যুক্ত করে মস্কো।
রাশিয়া এখন ক্রিমিয়ার পাশাপাশি এবং এই চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলকে তার নিজস্ব ভূখন্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। আর পশ্চিমা অস্ত্রে সজ্জিত ইউক্রেন যদি এসব ভূখন্ড আবার দখলে নিতে চায়, তাহলে সেটি এ অঞ্চলে পারমাণবিক হামলার আশঙ্কাকেই বাড়িয়ে তোলে। অবশ্য ইউক্রেন ক্রিমিয়াসহ রাশিয়ান লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে এবং ইউক্রেনীয় ভূখন্ড থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।